নিজস্ব প্রতিবেদক : কূখ্যাত ডাকাত ও আওয়ামী ভূমিদস্যু আনোয়ারের হাত থেকে বাঁচতে নিরাপত্তা চেয়ে এলাকার শত শত মানুষ মানববন্ধন করেন। ২৫ই আগষ্ট রবিবার বিকাল ০৩ টায় কুমিল্লা মুরাদনগর থানার উত্তর পেন্নাই মাদ্রাসার সামনে ঐ গ্রামের শত শত নারী পুরুষ ও স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী একযোগে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন। এসময় তারা ডাকাত আনোয়ারের বিচার ও তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। জানা যায়, আনোয়ার হোসেনের পিতার নাম মনু ডাকাত।
তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার উত্তর পেন্নাই। তিনি ১ নং শ্রীকাইল ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি।ভুক্তভুগি এলাকাবাসী জানায়, ঐ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন ও চন্দ্রনাইল গ্রামের নজরুল ইসলাম সাবেক চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় সে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। এসময় তিনি তার সহযোগী মানিক মিয়া,ইব্রাহিম মিয়া ও অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে জমি এলাকার নিরীহ মানুষের জোরপূর্বক জমি দখল, বাড়ী দখল,বালির গদি দখল, বাজার দখল,বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি শুরু করেন। এই গ্রুপের চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী রাতের বেলায় ঘরে ঘুমাতে পারতো না। এছাড়াও ডাকাত আনোয়ার চিহ্নিত চোর- ডাকাতদের নিয়ে এলাকায় মাদকের দূর্গ গড়ে তুলেছে।মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, অবৈধ ইয়াবা ও মাদক ব্যবসা করে এলাকায় ৫০ বিঘা জমিসহ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে।মানববন্ধন অনুষ্ঠানে এলাকাবাসী জানান,আনোয়ারের বিক্রিত মাদক সেবন করে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-আন্দোলনের তোপের মুখে গত ৫ই আগষ্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এলাকাবাসী আনোয়ার ডাকাতকে গণপিটুনি দিয়ে বের করে দেয়। গণপিটুনি খেয়ে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসীরা জানান, গত কয়েক দিন যাবত শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আনোয়ার (ডাকাত) পাশ্ববর্তী গ্রাম থেকে লোকজন ভাড়া করে নিয়ে গ্রামের ডোকার পায়তারা করছে। অপরিচিত বিভিন্ন লোক দিয়ে এলাকার মানুষকে মেরে ফেলার হুমকি ও দিচ্ছে। এসব বিষয়ে থেকে রেহাই পেতে তারা প্রশাসনের নিকট জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মানববন্ধন করেন। আনোয়ারকে সেল্টার দেওয়ার বিষয়ে শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল বলেন,আনোয়ার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হিসেবে তার সাথে কথা হয়, এছাড়ারা তার কোন ধরনের অনিয়মের সাথে আমি জড়িত নই। এবিষয়ে আনোয়ারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি। আইনি সহায়তা চেয়ে মানববন্ধন বিষয়ে মুরাদনগর থানার তদন্ত ওসি শরীফ ইবনে আলম বলেন ,বিষয়টি আমরা জানি না।তারা আসলে অবশ্যই আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা দিবো।