সিটিজেন নিউজ ডেক্স :
চাঞ্চল্যকর সোহাগ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মোঃ রিজওয়ান উদ্দিন অভিকে গ্রেফতার করায় সাত পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করলেন ডিএমপি কমিশনার।
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে আলোচিত লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মোঃ রিজওয়ান উদ্দিন অভিকে গ্রেফতার করায় লালবাগ বিভাগের সাত পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই ২০২৫ খ্রি.) দুপুরে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে তাদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার।
পুরস্কার প্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন: ১। অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মোঃ আমিনুল কবীর তরফদার ২। সহকারী পুলিশ কমিশনার (চকবাজার জোন) মো. মাহফুজার রহমান, ৩। সহকারী পুলিশ কমিশনার (লালবাগ জোন) জুয়েল চাকমা ৪। কোতয়ালী থানার এসআই খায়রুল আলম ও ৫। এএসআই মোঃ মিজানুর রহমান ৬। চকবাজার মডেল থানার এএসআই মোঃ কামাল হোসেন এবং ৭। পিওএম-পূর্ব বিভাগের কনস্টবল মোঃ শরিফুল আলম।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার ভিকটিম সোহাগকে উপর্যুপরি পাথর নিক্ষেপ করা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করায় পুরস্কার প্রাপ্তদের দায়িত্বের প্রতি আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাদের এ কৃতিত্বপূর্ণ কাজ অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই ২০২৫ বিকেল আনুমানিক ০৫.৪০ ঘটিকার সময় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) কে প্রকাশ্য দিবালোকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে ও উপর্যুপরি পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়। ভিকটিমের বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত ঘটনায় কোতয়ালী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। রুজুকৃত মামলাটি তদন্তকালে প্রাথমিকভাবে ভিকটিম সোহাগকে উপর্যুপরি পাথর নিক্ষেপ করা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা গেলেও সেই সময় তার পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে লালবাগ বিভাগের পুরস্কারপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও পেশাদারিত্বের কারণে মোঃ রিজওয়ান উদ্দিন অভির পরিচয় শনাক্ত করে তার অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই ২০২৫ খ্রি.) রাত আনুমানিক ১১:৫৫ ঘটিকায় পটুয়াখালী জেলায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট নয়জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।