মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
মুনিয়ার যেরকম অবস্থা হয়েছে, তোমারও ঠিক সেরকম অবস্থা হবে— ভুক্তভোগী নারীকে তৌহিদ আফ্রিদির হুমকি মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে অপসারণের নির্দেশ ট্রাম্পের যারা নির্বাচন বয়কট করবে, নিজেরাই মাইনাস হয়ে যাবে: সালাহউদ্দিন আহমদ খাল দখলকারী ও ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সারাদেশে বৃষ্টির আভাস, বাড়বে দিনের তাপমাত্রা শাহজালালে ১৩০ কোটি টাকার কোকেনসহ বিদেশি নাগরিক আটক ভিনিসিউসকে একাদশে না রাখার ব্যাখ্যা দিলেন কোচ লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা, সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা এবার চীন-ভারত সীমান্তে পানিযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে ভোট দিতে মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে : মঈন খান

মুনিয়ার যেরকম অবস্থা হয়েছে, তোমারও ঠিক সেরকম অবস্থা হবে— ভুক্তভোগী নারীকে তৌহিদ আফ্রিদির হুমকি

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ০ বার পঠিত

 

অনলাইন ডেস্ক
কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবা নাসির উদ্দিন সাথীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা, নির্যাতন ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ‘ক্রাইম এডিশন’ প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে—ইউটিউবার ও ব্লগারদের আওয়ামী লীগের পক্ষে জোরপূর্বক কাজ করানো থেকে শুরু করে আফ্রিদির নানা কুকীর্তির বিস্তারিত। তবে এসবের ভিড়ে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে উঠেছে মুনিয়ার সাথে তার সম্পর্ক। ফাঁস হওয়া একাধিক ফোনালাপ ও ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্য প্রমাণ করে, মুনিয়ার সাথে আফ্রিদির ঘনিষ্ঠতা কেবল ব্যক্তিগত সম্পর্কেই সীমাবদ্ধ ছিল না— এটি মুনিয়ার মৃত্যুর রহস্যকেও নতুন দিকে মোড় নিতে বাধ্য করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে তৌহিদ আফ্রিদি দেশের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের হুমকি দিয়ে সরকারের পক্ষে কাজে লাগানোর চেষ্টা চালিয়েছেন। তাছাড়া, আফ্রিদির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগও উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী জানান, দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর আফ্রিদি হঠাৎ করেই তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়। পরে তাকে ডিবি অফিসে ডেকে গায়েব করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ফলে সংসার করার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় তার।

ওই নারী আরও বলেন— ‘আমি জানতে পারি, বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে তার (আফ্রিদি) সম্পর্ক আছে। মুনিয়া নামের একটা মেয়ে আছে, তার সঙ্গেও আফ্রিদির সম্পর্ক। এগুলো জেনে ওর সাথে আমি একটু রাগারাগি করি। এটা স্বাভাবিক, আমার একটু খারাপ লাগতেই পারে। আমি যেহেতু ওকে ভালোবেসে ফেলেছি। তো, ওকে আমি বলার পরে খুব বাজেভাবে রিঅ্যাক্ট নেয়। এক সময় এরকমও বলে, মুনিয়ার যেরকম অবস্থা হয়েছে, আমারও ঠিক সেরকম অবস্থা হবে। মানে, ইনডিরেক্টলি ও আমাকে হত্যার হুমকিই দেয়।’

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওই নারীর অভিযোগের সূত্র ধরে কিছু ফোন রেকর্ড হাতে আসে। যেখানে মুনিয়ার বাসায় আফ্রিদির যাতায়াত এবং ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ মেলে। মুনিয়ার সাথে আফ্রিদির সম্পর্ক এবং আরেক প্রেমিকার সাক্ষ্য মিলিয়ে দেখলে হত্যাকাণ্ডের রহস্য ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে।

একটা ফোন কলে মুনিয়া, অন্য এক নারী ও তৌহিদ আফ্রিদির কথা শোনা যায়। ওই নারী বলছে, তুমি যেটা বললা, সেটা রিপিট কর। মুনিয়া বলছে, বলছে রসকস থাকবে না। তৌহিদ আফ্রিদি বলছে, ওর রস-কস থাকবে না বিয়ের পর। বিয়ের আগেই রস.. বিয়ের পরের। মুনিয়াকে বলতে শোনা যায়, উনি কিভাবে বলল, উনাকে আমি কি, তোমার উপরে কিচ্ছু..

আরেকটি ফোন কলে মুনিয়া বলছে, হ্যা! কোথায় তুমি, কই, কি করো। তৌহিদ আফ্রিদি বলেন, এই যে, আমি এই যে, আমি রাত্রে বেলার মধ্যে আসতেছি। মুনিয়া বলেন, ও, কোথায় আসবা? আফ্রিদি বলেন, তোমাকে পিক করবো রাতে। মুনিয়া বলেন, আচ্ছা, ফোন দিও।

আরেকটি ফোন কলে শোনা যায়, হ্যালো, হ্যা, কোথায় তুমি? আফ্রিদি বলেন, অফিসে, অফিসে কাজে। মুনিয়া বলেন, অফিসে কি গাড়ি চালাও, হা হা হা! আফ্রিদি বলেন, না না অফিসে। মুনিয়া বলেন, আচ্ছা, এখন কি করবো বলো একটু? আফ্রিদি বলেন, কি করবা? মানে বুঝি নাই। মুনিয়া বলেন, মানে, আজকে দেখা করবা না আমার সাথে একটু? আফ্রিদি বলেন, রাতে রাতে।

আরেকটি ফোন কলে শোনা যায়, আফ্রিদি বলেন, না আমি মানে, মাত্র ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে থেকে বের হচ্ছি। আমার কথা হচ্ছে, আমি আসতে পারবো, কোন সমস্যা নেই। আমি একটু একটু ড্রাংক। তবে, চলবে? মুনিয়া বলেন, না, সমস্যা কি? ড্রাংক! আফ্রিদি বলেন, আচ্ছা। মুনিয়া বলেন, ওই কাবাইকাবা, আফ্রিদি বলেন, হ্যা! বুঝি নাই। মুনিয়া বলেন, কাইকাবা গাঁধা কোথাকার! আফ্রিদি বলেন, গাঁধা কেন? মুনিয়া বলেন, এত ন্যাচারালভাবে কথা বলতে পারতা? আফ্রিদি বলেন, হ্যা! আমি ন্যাচারালি কথা বলি। আর হ্যা! এক পারসেন্ট। এটা তোমাকে জানায়া রাখলাম। আমি রাতে আসতেছি। এসময় মুনিয়া বলেন, এত দুষ্টু ক্যান তুমি?

তৌহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দুইটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে—জুলাই আন্দোলনে আসাদুল হক বাবু নামের এক বিক্ষোভকারীকে হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে তিনি জড়িত। আরেকটি মামলা হয়েছে বাড্ডা থানায়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়—২০২৪ সালের ২০ জুলাই মধ্য বাড্ডা ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায় আফ্রিদি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com