শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

আবরারকে প্রচণ্ড মারধর করে সকাল

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২৩০ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে ডেকে নিয়ে বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকালসহ মামলার এজাহারভুক্ত ও অন্যান্য আসামিরা ক্রিকেটের স্টাম্প এবং লাঠি-সোটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড মারধর করেন। মারধরের ফলে আবরার মারা যান।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) আসামি ইফতি ঘটনার সত্যতা প্রকাশসহ ঘটনার বিষয়ে নিজ ইচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। জবানবন্দি দেয়ার আগে ইফতিকে আদালতে হাজির করে আসামিকে কোর্টে প্রেরণ ও জবানবন্দী রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেন তিনি।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে বলেন, ‘আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল ৬ অক্টোবর আবরার ফাহাদ রাব্বীকে বুয়েট শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুম থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যান। পরের দিন (৭ অক্টোবর) হলের ২০১১ নম্বর রুমের ভেতরে নিয়ে ইফতিসহ মামলার এজাহারভুক্ত ও অন্যান্য আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্রিকেটের স্টাম্প এবং লাঠি-সোটা দিয়ে আবরারের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড মারধর করেন। মারধরের ফলে তিনি মারা যান।‘

তার মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামিরা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে মৃতদেহ ফেলে রাখেন। পরে কয়েকজন ছাত্র তার দেহ সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী।

রিমান্ড হলো যাদের: বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাতুল ইসলাম জিওন, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, ছাত্রলীগ কর্মী মুনতামির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মোজাহিদুর রহমান, মেহেদী হাছান রবিন।

গত রোববার (৬ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, ওই রাতেই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com