জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, দেশে উন্নয়নের গণতন্ত্রও শুনতে হচ্ছে। অথচ আজ পর্যন্ত এ নামে কোনো গণন্ত্রের নাম কোথাও শুনিনি। এখন উন্নয়নের জুয়াতন্ত্র চলছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংস। এই সরকার এক ব্যক্তির ইচ্ছায় যা খুশি তাই করছে। এটা চলতে পারে না।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে মুক্তিজোট আয়োজিত ‘নির্বাচন কেন্দ্রীক সংকট সমাধানে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন ও প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রব বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। কোনো সরকার নেই। প্রশ্ন হতে পারে- সরকার নেই তাহলে দেশে চলছে কীভাবে? জবাব হচ্ছে- আমাদের নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছিল ৩০ ডিসেম্বর। কিন্তু সেদিন তো ভোট হয়নি। ভোট হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর রাতে। তাহলে এটা কোন সরকার? এটা কোনো সরকারই না।
যুবলীগের সম্রাট কাকে কাকে ক্যাসিনোর টাকার ভাগ দিয়েছে তা মানুষ শুনতে চায় উল্লেখ করে রব বলেন, কেন তাকে (সম্রাট) গ্রেফতার করতে দেরি হলো? বাজারে অনেক গুজব আছে। অনেক মন্ত্রী, শত শত এমপির নাম আছে। আপনারা দেশের মানুষকে সন্দেহের মধ্যে থাকতে দিবেন না, জিনিসটা পরিস্কার করেন। সম্রাট বলুক কাদের কাদের সে টাকা দিয়েছে। এটা আমরা জানতে চাই।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বর্তমান সরকার মানুষের কাছে ঘৃণিত একটি সরকার। সবাই বলতে পারেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মানুষ কেন রাস্তায় নামছেন না। গাদ্দাফি ও সাদ্দাম হোসেনের সময় মানুষ কতবার নেমেছে খোঁজ করেন। বাংলাদেশের সরকারও একটা অত্যাচারিত সরকার। তারা যে রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে এসেছে তা ভাঙতে কষ্ট হবে, কিন্তু ভাঙা যাবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী রাখা হয়েছে। তাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এটাও বলছি, আবরারের বাবা তার ছেলে হত্যার বিচার পাবে কি-না জানি না, কিন্তু আওয়ামী লীগের ১১ বছরে আমি আমার বাবার হত্যার বিচার পাইনি।
তিনি আরও বলেন, ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ঘোষণা করব। যার নাম দেয়া হবে ‘রক্তের অক্ষরে শপথের স্বাক্ষর’। একদিন এদেশে গণতন্ত্র ফেরত আসবে- এই ওয়াদা আমি করছি।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিজোটের জাতীয় সমন্বয়ক এ আর শিকদার। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, মুক্তিজোটের জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।