মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
মনিপুরীপাড়ায় জনতার মুখোমুখি আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার: স্থানীয় সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের ৬ দফা প্রস্তাব রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক মামলার আসামি সোলাইমানকে বনানী থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১ সাহসিকতার স্বীকৃতি: পিপিএম পদকে ভূষিত হলেন কুমিল্লার এসআই খাজু মিয়া পাকিস্তানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, নিহত ৫ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে সরকার, আশ্রয়ে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা: প্রধান উপদেষ্টা ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান গড়বে বিএনপি: আমিনুল হক ১১ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২ হাজার ২৪ কোটি টাকা

কৃষি বাদ দিয়ে শিল্পায়ন নয়: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৯
  • ২৬৯ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সভাপতি, আওয়ামী কৃষক লীগের সাংগঠনিক নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের একটু সমস্যা আছে, যারা লেখাপড়া শেখে তারা আর মাঠে যেতে চায় না। দুই পাতা পড়েই মনে করে আমি কেন যাব! আমার মনে হয়, এ চিন্তা থেকে দূরে থাকা দরকার।’

আজ বুধবার দুপুরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী কৃষক লীগের জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের ছেলে, বাবা কৃষিকাজ করে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। লেখাপড়া শিখলেও ছেলের অবশ্যই মাঠে যাওয়া উচিত। সে কারণে এবার ধান কাটার সময় আমাদের ছাত্রলীগকে বলেছিলাম, তোমরা ধান কাটতে চলে যাও। কৃষকদের পাশে দাঁড়াও। এতে লজ্জার কিছু নেই। নিজের কাজ নিজে করা লজ্জার কিছু থাকে না। নিজে খাদ্য উৎপাদন করবো নিজের খাবার নিজে খাবো, এখানে লজ্জার কী আছে?’

তিনি আরও বলেন, ‘ছোট বাগান করা, জমি চাষ করা বা যেখানে ফসল উৎপাদন হয় নিজের ফসল ঘরে তোলা। এটা একটা গর্বের বিষয়। তাই এটাকে এভাবে দেখতে হবে, কৃষিকে মর্যাদা দিতে হবে। মর্যাদা না দিলে নিজের পেটের ভাত আসবে কোথা থেকে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কাজে লজ্জার কিছু নেই, সব কাজ করার মতো মন থাকতে হবে। আমি বলেছি, প্রয়োজনে আমিও যাব। আমি আমার গ্রামে বলে রেখেছি, তোমরা যখন ধান কাটবে বা বীজ রোপণ করবে তখন আমায় বলবে, আমি যাব। আমার এতে কোনো লজ্জা নেই।’

শিক্ষিত ব্যক্তিদের কৃষিকাজে অনীহা দূর করা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই জায়গাটায় আমাদের কৃষক লীগের একটা ভূমিকা থাকা দরকার। আমি মনে করি, আমাদের স্কুলজীবন থেকে এটা আমাদের অভ্যাস থাকা দরকার।’

তিনি বলেন, ‘দেশ যখন স্বাধীন হয়েছিল তখন ৮২ ভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে ছিল। কৃষকের চেষ্টা এবং কৃষি গবেষণার ফলে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। এ অবদান কৃষকের।’

কৃষির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদেক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কৃষিকে গুরুত্ব দিই। ভবিষ্যতেও কৃষির উন্নয়নে যা যা করণীয় সবই করা হবে।’

কৃষিতে ভর্তুকির ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাংকসহ বিদেশি দাতা সংস্থার বাধা দেয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি, আপনাদের টাকা লাগবে না, নিজের টাকা কৃষিতে ভর্তুকি দেব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছুতে সবসময় লাভ দেখলে হয় না, দেশের মানুষ কিসে উপকৃত হবে সেটা চিন্তা করতে হয়। আর আমরা সেভাবেই পদপে নিই। আমাদের দেশকে কীভাবে উন্নত করা যায়, আমরা সেভাবে কাজ করছি।’

জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ মোতাহার হোসেন মোল্লা। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিদের ব্যাজ পরিয়ে দেয়া হয়। কৃষক লীগের প্রকাশনা মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর উদ্বোধনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন নাজমুল ইসলাম মানু। মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা করা হয়।

অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সর্বভারতীয় কৃষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক অতুল কুমার অঞ্জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com