রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

গোপীবাগে গুলি : সেই অস্ত্রধারী আরিফুলের রিমান্ড চায় ডিবি

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২০
  • ২৯৩ বার পঠিত

আদালত প্রতিবেদক: রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের প্রচারণায় হেলমেট পরিহিত অবস্থায় গুলি চালানো যুবক আরিফুল ইসলামের (৪৭) সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

জানা গেছে, আরিফুল ছাত্রদলের সাবেক নেতা এবং বিএনপির মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের পিএস (একান্ত সচিব)। তার বাড়ি বরিশালে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হক। ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এ আসামি গত ২৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ওয়ারী থানাধীন ৪৮/৩ এ আর কে মিশন রোডের রোকন উদ্দিন আহমেদের অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে রাস্তায় পৌঁছালে মিছিলটি অবৈধ সমাবেশে রূপ নেয়। এ আসামি প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের লোকজনদের হত্যার উদ্দেশে পিস্তল দিয়ে সাত রাউন্ড গুলি ছোড়ে।’

হাতিরঝিল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফরিদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গতকার বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনের ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন বলেন, ‘গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর ওয়ারী থানাধীন গোপীবাগ এলাকায় নির্বাচন প্রচারণাকালে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ওয়ারী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগও ছায়া তদন্ত শুরু করে। ওই ঘটনায় নানা ধরনের তথ্যের অবতারণা হয়। যে কারণে ওই ঘটনায় অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসাটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

‘তদন্তে স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও পর্যালোচনা করা হয়। গুলিবর্ষণকারী অস্ত্রধারীকে শনাক্তে তার মুখমণ্ডল, পরিহিত জামা-কাপড়, জুতা, হেলমেট ইত্যাদি বারবার পর্যবেক্ষণ করা হয়। গুলিবর্ষণের কিছুক্ষণ আগে ধারণ করা স্থিরচিত্রের সঙ্গে হেলমেটবিহীন অনুরূপ ছবি দেখতে পেয়ে দুটি দৃশ্যের স্থিরচিত্র পাশাপাশি নিয়ে মিলিয়ে নিশ্চিত হয়ে আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আরিফুল ওই সময় গুলিবর্ষণ করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ঘটনার পর আমরা গুলির খোসা পেয়েছি ঘটনাস্থল থেকে। সেই গুলির খোসার সঙ্গে তার জব্দ করা গুলির মিল আছে। ওয়ারী থানায় করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার ব্যবহৃত অস্ত্রটি বৈধ নাকি অবৈধ তা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে বৈধ অস্ত্র যদি কেউ অবৈধভাবেও ব্যবহার করেন তাহলেও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ব্যবস্থা নেয়া যায়।’

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) বলেন, ‘আরিফুল সাবেক ছাত্রদল নেতা। তাছাড়া তিনি বিএনপি প্রার্থী ইশরাকের পিএস বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com