অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী যেভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তাতে এটি মহামারী আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বের আরো পদক্ষেপ বা প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন সংস্থার প্রধান টেডরস অ্যাডানম গেবরিয়েসুস।
করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চীনেই মারা গেছে ২ হাজার ৫৯২ জন। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে আরো ২৮ দেশে। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও ইতালিতে আক্রান্তের হার ক্রমে বাড়ছে। এ তিন দেশে ইতিমেধ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার দুইশ জনেরও বেশি।
এছাড়া গতকাল সোমবার ইরাক, আফগানিস্তান, কুয়েত এবং বাহরাইন প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
সাধারণত: একই সময়ে যখন বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষ কোন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন, তখন তাকে মহামারী বলা হয়ে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ কমে আসছে। দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান এবং ইতালিতে এ ভাইরাস যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
গ্যাবরিয়েসুস বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে একে মহামারী বলা না গেলেও নিশ্চিতভাবেই এটি বেশ শঙ্কার কারণ।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাঙ্গেলার স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক অধ্যাপক পল হান্টারও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তা বেশ উদ্বেগজনক।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রধান মার্ক রায়ান বলেছেন, মহামারী মোকাবেলায় এখন যা যা করা সম্ভব তার সব কিছুই করতে হবে আমাদের।
সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেছেন, দেশগুলো পদক্ষেপ না নিলে এ ভাইরাস আরো বেশি হারে ছড়িয়ে পড়বে। তাই প্রতিরোধের চেষ্টা এখন খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে ভাইরাসকে বেশিদূর ছড়াতে না দেওয়ার কারণে এ মুহূর্তে পরিস্থিতিকে মহামারী হিসাবে দেখা হচ্ছে না। তবে মহামারীর মত এ ভাইরাস ছড়াতে থাকলেও এর বিস্তারের হার সীমার মধ্যে রাখা জরুরি।