নিউজ ডেস্ক:আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নববর্ষে বাইরে কোনো প্রোগ্রাম করা যাবে না। ঘরে বসে রেডিও-টেলিভিশনে অনুষ্ঠান হবে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় উদযাপন করা যাবে। কিন্তু কোনো জনসমাগম করা যাবে না।’
রোববার (১২ এপ্রিল) বরিশাল ও খুলনা বিভাগের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের আগে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সব ধরনের কর্মকাণ্ডে লাগাম টানার পর আবারও বাংলা নববর্ষের উদযাপন বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘জনসমাগম করলে এ ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবে। সব অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।’
করোনাভাইরাসের সংকট সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ আসে, কিন্তু সেই দুর্যোগ সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রেডিও টেলিভিশন থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় যে যেখানে আছে তাকে সুরক্ষার জন্য সেখানেই থাকার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই কয়েকটা দিন আপনারা নিজের এলাকাকে সুরক্ষিত করুন। নতুন কাউকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।
শ্বশুরবাড়ি-আত্মীয়র বাড়ি পরে যান। এগুলো এখন বন্ধ রাখুন ‘
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে। আমরা বিজয়ী জাতি। করোনার বিরুদ্ধেও আমরা বিজয় অর্জন করতে পারবো।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সের এক পর্যায়ে ঝালকাঠি জেলা মসজিদের ইমামের কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী। ইমাম বলেন, ‘সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ঝালকাঠির সব ইমাম জুমার নামাজ দশ জনে পড়েছি এবং ওয়াক্ত নামাজ পাঁচজনের বেশি উপস্থিতি রাখছি না। শবে বরাতের নামাজ বাসায় আদায় করেছি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মহান আল্লাহর কাজে করোনাভাইরাস থেকে আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া করছি। দেশবাসী ও পৃথিবীর সবার জন্য দোয়া করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে সবাইকে দোয়াই করতে হবে। যেন এ করোনাভাইরাস থেকে আমরা রক্ষা পাই। ঘরে বসে দোয়া করলে আল্লাহ সেটা কবুল করবেন। কাজেই ঘরে বসে যত বেশি দোয়া পড়া যায়। যাতে আল্লাহ আমাদের এ বিপদ থেকে রক্ষা করেন।’
গণভবন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।