অনলাইন ডেক্স: প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপির পিতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি’র ১৬তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। করোনা কারণে মরহুমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সকল আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে।
আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গ্রামের বাড়ি হায়দ্রাবাদে মরহুমের কবরস্থান প্রাঙ্গনে ৭ জন কোরানে হাফেজের সমন্বয়ে শুধু কোরানখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি করোনা সময়ে মরহুমের পারিবারিক কবরস্থান প্রাঙ্গনে না এসে দেশবাসীকে তাঁর ভাইয়ের জন্য ঘরে বসে দোয়া করার আবেদন জানিয়েছেন।
২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী নোয়াগাঁও এম এ মজিদ স্কুল মাঠে জনসভা চলাকালে জুমা আজানের ঠিক পূর্ব মূহুর্তে প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপিকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মতিউর রহমান মতি বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় মামলা করেন।
এই হত্যা মামলার রায়ে ২০০৫ সালের ১৬ মে ২২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট ডিভিশন আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, জেল আপীল ও আবেদনের শুনানী শেষে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে ১১ জনকে খালাস দেয় আদালত। বিচার চলাকালে ২ আসামীর মৃত্যু হওয়ায় তাদের আপীল নিষ্পত্তি করে দেয়া হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামির কোন আপিল না থাকায় তার পূর্বের রায়ই বহাল রাখা হয়।
আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
মরহুম আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।