এম.পারভেজ: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মরহুম এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুর পর ঢাকা-১৮ আসন শূণ্য হয়ে যায়। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী শূণ্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা রয়েছে। উপ-নির্বাচনের এই সময়ে বৃহত্তর উত্তরার রাজনীতির ধারা প্রতি ধারা অনেকটাই পাল্টেছে।
তবে এবারের উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনও অনেক রাজনীতিবীদ ও ব্যবসায়ী প্রার্থী মাঠে নামার অপেক্ষায় আছে বলে জানা গেছে। শেষ পর্যন্ত আরালে থাকা এসব নেতারা মাঠে আসলে নির্বচন কেন্দ্রিক জলপনা কল্পনার আরো ডালপালা গজাতে পারে। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন তরুন ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোঃ খসরু চৌধূরী। তিনি ছিলেন মরহুম এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের বিশ্বস্থ কর্মী। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সফল ব্যবসায়ী নীপা গ্রুপ অব ইন্ডিাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ খসরু চৌধূরীকে ঢাকা-১৮ আসনের সর্ব স্তরের জনগণ এম পি হিসাবে কাছে পেতে চায় এমনটাই আশা ব্যক্ত করেছেন তার অনুসারীরা।
তিনি ঢাকা-১৮ আসনের ৭টি থানার প্রতি ওয়ার্ডে তার কে সি ফাউন্ডেশনের কমিটি গঠন করে নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষ, কর্মহিন, বেকার জনগোষ্ঠি, ফুটপাত ও বস্তিতে থাকা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের অবস্থান শক্ত করে নিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করা এই নিরহংকারী মানব সেবী সম্প্রতি করোনা ভাইরাস পাদুর্ভাবের কারনে কর্মহীন হয়ে যাওয়া অসহায় পরিবারের পাশে দাড়ানোর কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অবস্থান অনেকটাই ভাল। তিনি ইতি মধ্যে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ বাড়িছেন। অনেকের মতে খসরু চৌধুরীর নীপা গ্রুপ অব ইন্ডিাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠান, ১। নীপা ফ্যাশন ওয়্যার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড, ২। সেলিনা এ্যাপারেলস্ লিমিডেট, ৩। নীপা নীট ওয়্যার কোম্পানী, ৪। কে. সি বটম এন্ড শার্ট ওয়্যার কোম্পানী, ৫। কে.সি ওয়াশিং প্ল্যান্ট, ৬। কে.সি জ্যাকেট ওয়্যার কোম্পানী, ৭। কে.সি হসপিটাল এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার, ৮। কে.সি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, ৯। হোটেল সী উত্তরা এবং কে সি ফাউন্ডেশন সহ সকল প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী সহ নিজস্ব বলয় নিয়ে পুরোপুরি মাঠে নামতে পারলে তার অবস্থান নিঃসন্দেহে ভাল হতে পারে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাই লেভেলে তার যথেষ্ঠ গ্রহণ যোগ্যতাও রয়েছে। তিনি দলীয় বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে অনুদান প্রদান এবং স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় সর্বাধিক অনুদান প্রদান করে দলীয় আনুগত্যের জায়গাটিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ অবস্থায় তাকে মাঠে পেয়ে তার অনুসারীরা এবং স্থানীয় সকল রাজনৈতিক তৃনমূল নেতাকর্মীরা মহা খুশি।