শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
বিদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার বিধিনিষেধ তুলে দিলো কুয়েত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজলের জয়জয়কার গাজীপুরে জব্দ করা অবৈধ চিনি পেল এতিমরা বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২০ এপ্রিল) আইপিএলের মাঝে দল ছেড়ে ‘পালালেন’ অশ্বিন, পাওয়া গেল জঙ্গলে! প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস, আগামী দুদিন যেমন যাবে আবহাওয়া দক্ষিনখানে ১৪ বছরের রায়হানকে হত্যাচেষ্ঠা,মামলার ১৩ দিনেও গ্রেফতার হয়নি আসামী উত্তরার সাংবাদিকদের সহিত তুরাগ থানার ওসি’র মতবিনিময় লালমাই ফসলি জমির মাটিকাটার নিউজ করতে গিয়ে হুমকির মুখে সংবাদকর্মী থানায় জিডি জিম্বাবুয়ে সিরিজের চূড়ান্ত স্কোয়াডে যাদের জায়গা নিশ্চিত

কানাডার স্থায়ী নাগরিক মাহবুব বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে বহাল

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২১৩ বার পঠিত

ডেস্ক:  দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ বিতরনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিপিডিসি বিগত বছরগুলোতে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভুতুড়ে বিলসহ নানা কারণে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর এসবের সঙ্গে ওঠে এসেছে একটি নাম। তিনি ডিপিডিসির তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান। ডিপিডিসির এসি (তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবের দুর্নীতি ও লুটপাটের বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছে। ডিপিডিসির বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান প্রতিষ্ঠানটির প্রকিউরমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের ক্রয়সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় তিনিই দেখভাল করেন। একাধিক মেয়াদে দীর্ঘদিন ধরে একই পদে থাকার কারনে তিনি একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। আর এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি টেন্ডারবাণিজ্যসহ তার সমস্ত অপকর্ম পরিচালনা করেন। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি: ডিপিডিসিতে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৯ জন তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রকিউরমেন্ট) দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে মাহবুবুর রহমানই দ্বিতীয়বারের মতো একই দায়িত্বে ফেরত এসেছেন। শুধু তাই নয়, দুই মেয়াদ মিলিয়ে তিনিই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এ পদে রয়েছেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো মাহবুবুর রহমান ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত টানা তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর এই পদে দুজনের নিয়েগ হয়। কিন্তু দুজন মিলেও এক বছর দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। দায়িত্ব ছাড়ার মাত্র এক বছরের মাথায় দুজনকে বদলি করে মাহবুব আবারো একই পদে যোগদান করেন ২৭ ফেব্রয়ারি ২০২০ এ। কেমন অদৃশ্য খুঁটির জোরে তিনি এমনটা করতে পেরেছেন সেটি কিন্তু সহজেই অনুমেয়। মাঝখানের এক বছর কিন্তু তিনি দেশেও ছিলেন না। এই মাহবুবুর রহমান দ্বৈত নাগরিক। তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি কানাডারও নাগরিক। দ্বৈত নাগরিক হয়ে এমন পদে থাকা বাংলাদেশের সাংবিধানিক আইন পরিপন্থী। ২০১৯ সালের প্রায় পুরোটাই তিনি কানাডায় ভোগ বিলাসী জীবনে মত্ত ছিলেন। এরপর আবার নিজের পছন্দ মতো আগের পদে ফিরে এসে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। শুধু মাহবুবুর রহমান নয় তার পরিবারের প্রতিটি সদস্যও কানাডার নাগরিক। তার কানাডার পাসপোর্ট নম্বর AG062208 । তার পরিবারের সদস্যরা কানাডায় বসবাস করেন বিলাসবহুল বাড়িতে। ছেলে মেয়েরা লেখা পড়া করেন সেখানের নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে তিনি চুক্তি ও ক্রয় সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করছেন। মাহবুবুর রহমান নিজের মনোনীত ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার জন্য ঠিকাদারের সাথে আলোচনা করে দরপত্রে শর্ত প্রদান করেন। দরপত্র মূল্যায়নে অন্যান্য দরপত্র অযোগ্য করে নিজের মনোনীত ঠিকাদারকে যোগ্য মূল্যায়ন করে কাজ পাইয়ে দেন। চুক্তি ও ক্রয় সার্কেলের ২টি পদে (তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলী) তিনি দায়িত্বে থাকায় তার দুর্নীতি করতে সহজ হয়। এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য মাহবুবুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com