জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প সচল রাখা ও যথাযথভাবে পণ্য বাজারজাত করার কারণে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন,করোনাকালে খাদ্য উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে দেওয়া ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বব্যাপী উৎপাদনে স্থবিরতার পরও আমাদের ৫.২৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় আমাদের উদ্যোগ ও এজেন্ডা-২০৩০ অর্জনে প্রচেষ্টা সমানতালে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভলান্টারি ন্যাশনাল রিভিউ রিপোর্ট উপস্থাপন প্রমাণ করে, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে যথাযথভাবে এগিয়ে চলেছি।’
বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ব-দ্বীপে পরিণত করতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
কোভিড-১৯ বিস্তারের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে, জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এতে ১০ মিলিয়নের বেশি পরিবার উপকৃত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দিয়েছি। করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, শ্রমিক ও দিনমজুরসহ ৫ মিলিয়ন মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গ্রাম পর্যায়ের প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।’
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ দফা নির্দেশনা জারির কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। আর্থিক খাতের সমস্যা চিহ্নিত করে ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। দেশে ফিরে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের প্রণোদনা বাবদ ৩৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অভিবাসী শ্রমিকদের বিষয়টি সহমর্মিতার সঙ্গে ও ন্যায়সঙ্গতভাবে বিবেচনা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও অভিবাসী গ্রহণকারী দেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’