জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: সরকার দেশের সব শিশুর সমঅধিকার নিশ্চিত করে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে রোববার (৪ অক্টোবর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘শিশুর সার্বিক বিকাশ ও অধিকার বাস্তবায়ন এবং শিশুদের প্রতি সহিংস আচরণ ও নির্যাতন বন্ধের ক্ষেত্রে বাবা-মা, পরিবার ও সমাজের সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিশ্ব বর্তমানে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন। শিশুরাও এই পরিস্থিতিতে নিরাপদ নয়। সরকার এই মহামারি মোকাবিলায় সব দিক থেকে তৎপর রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাসহ সব সচেতন নাগরিককে শিশুদের কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
শিশুদের আগামী নেতৃত্বের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০’ পালন করা হচ্ছে জেনে প্রধানমন্ত্রী আনন্দিত। এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শিশুকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এবারের প্রতিপাদ্য ‘শিশুর সাথে শিশুর তরে, বিশ্ব গড়ি নতুন করে’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। একদিন তারাই দেশের নেতৃত্ব দিবে। আওয়ামী লীগ সরকার শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিনোদন ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে ‘‘শিশু আইন’’ প্রণয়ন করেন। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের অন্যতম অনুস্বাক্ষরকারী দেশ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা জাতীয় শিশুনীতি-২০১১ প্রণয়ন করেছি। আমরা শিশুশ্রম নিরসণ নীতি ২০১০, শিশু আইন ২০১৩ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছি।’
‘পথশিশু, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশু, বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া ও প্রতিবন্ধী শিশুদের কল্যাণে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছি। পরিত্যক্ত শিশুদের সেবা ও ভাতা প্রদান, পথশিশুদের পুনর্বাসনসহ তাদের জীবনমান উন্নত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘শিশুর শিক্ষা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে স্কুলে টিফিন, শিশুর জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি, বর্তমান সরকার হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল শিশুদের জন্য শিশু বিকাশ কেন্দ্র কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং চা বাগান ও গার্মেন্টস কর্মীদের শিশুদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনা করছে।’
‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০’ এর সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।