শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:২০ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
অগ্নি দুর্ঘটনায় তদন্ত সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তার আশ্বাস ইতালির জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আগামী প্রজন্মের কাছে কাপুরুষের উপমা হয়ে থাকব : অ্যাটর্নি জেনারেল হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক লালনের গানের মানবতার বাণী আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এখন থেকে লালন উৎসব জাতীয়ভাবে পালিত হবে: ফারুকী উত্তরায় বিএনপির ব‍্যতিক্রমি মিছিল খেলাধুলায় প্রতিভা অন্বেষণে বিএনপির ‘নতুন কুঁড়ি স্পোর্টস’ কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনা : আমিনুল হক জুলাই সনদ স্বাক্ষর বর্বরতা থেকে সভ্যতায় আসার প্রমাণ: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো: প্রধান উপদেষ্টা

যেসব স্থানে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন বিশ্বনবি

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২২৯ বার পঠিত

ধর্ম ডেস্ক : নামাজ ফরজ ইবাদত। ঈমানের পর ইসলামের প্রধান ইবাদত এটি। আল্লাহ তাআলা পুরো জমিনকে নামাজের জন্য পবিত্র করেছেন মর্মে হাদিসে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বনবি। কিন্তু তারপরও কিছু স্থানে তিনি নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন। সেসব স্থান কোনগুলো?

দুনিয়াজুড়ে সব জায়গায় নামাজ পড়া প্রসঙ্গে হাদিসে পাকে প্রিয় নবি ঘোষণা করেন-
হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার জন্য (অর্থাৎ আমার উম্মাতের জন্য) সমগ্র জমিনকে পবিত্র এবং মসজিদ (সাজদার স্থান) বানানো হয়েছে।’ (আবু দাউদ)

তবে যেসব স্থানে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন বিশ্বনবি, একাধিক হাদিসের বর্ণনায় তাও ওঠে এসেছে-

১. হজরত আবু সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘শুধু গোসলখানা ও কবরস্থান ছাড়া সমগ্র জমিনই মসজিদ (তথা নামাজের স্থান হিসেবে গণ্য)।’ (আবু দাউদ)

২. হজরত আল-বারাআ ইবনু আজিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উটের আস্তাবলে নামাজ আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘তোমরা উটের আস্তাবলে নামাজ আদায় করবে না। কারণ তা শয়তানের আড্ডাখানা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বকরীর খোঁয়াড়ে নামাজ আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘সেখানে নামাজ আদায় করতে পার। কারণ তা বারকাতময় প্রাণী (বা স্থান)।’ (আবু দাউদ)
৩. তবে দুর্বল সনদে আরও কিছু স্থানের বিবরণও ওঠে এসেছে; যেখানে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন বিশ্বনবি। তাহলো-

হজরত আবু সালিহ আল-গিফারি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, কোনো এক সফরে হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু ‘বাবিল’ নামক শহর অতিক্রমকালে তার কাছে মুয়াজ্জিন এসে আসরের নামাজের আজান দেওয়ার অনুমতি চায়। কিন্তু তিনি মুয়াজ্জিনকে ‘বাবিল’ শহর থেকে বেরিয়ে ইকামাত দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। মুয়াজ্জিন ইক্বামত দিলে তিনি নামাজ আদায় করলেন এবং নামাজ শেষে বললেন-

‘আমার প্রিয় বন্ধু নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কবরস্থানে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করেছেন। অনুরূপভাবে আমাকে ‘বাবিল’-এর জমিনে নামাজ আদায় করতেও নিষেধ করেছেন। কারণ তা অভিশপ্ত জমিন।’ (আবু দাউদ)

হাদিসের আলোকে উল্লেখিত স্থান ছাড়াও আরও কিছু স্থানে নামাজ পড়া যাবে না। সেগুলো হলো-
১. ময়লা-আবর্জনার স্থান বা অন্ধকার কুপ। যেখানে ঝাড়ু কিংবা পরিষ্কার করার পরও নাপাকি থেকে যাবে। অপবিত্র জায়গায় নামাজের জন্য উপযুক্ত নয়।
২. কসাইখানা। যেখানে পশু জবেহ করা হয়। রক্ত ও ময়লা দ্বারা যে স্থান দুষিত ও অপবিত্র হয়; সে স্থানও নামাজের জন্য উপযুক্ত নয়।
৩. কবরস্থানে নামাজ পড়া যাবে না। তবে জানাজা পড়া যাবে। এ সম্পর্কে হাদিসে পাকে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা এসেছে।
৪. মানুষের চলাচলের রাস্তায় নামাজ পড়া যাবে না। যেখানে নামাজ পড়লে মানুষের চলাচলে অসুবিধা হয়। কিংবা মানুষের পথ চলায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। যে কারণে নামাজি ব্যক্তি নামাজে বিভ্রান্তির শিকার হয়। তবে জুমআর নামাজের জন্য যদি পথচারী চলাচল বন্ধ থাকে তবে সেখানে জুমআ পড়া যেতে পারে।
৫. গোসলখানা বা বাথরুম। এটি গোসল, অজু ও পবিত্রতা অর্জনের জন্য নির্ধারিত স্থান বলে বিবেচিত। এতে নামাজ নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ হলো- এখানে শয়তান আশ্রয় নেয়।

৬. উটের (আস্তাবল) আশ্রয়স্থল। যেখানে উট রাখা হয়। এ স্থানে নামাজ পড়ার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে হাদিসের সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে।

৭. কাবা শরিফের উপরে বা ছাদে নামাজ পড়া যাবে না। কারণ এখানে কেবলার দিক নেই। আবার কিছু অংশ থাকলেও কিছু অংশ বাদ পড়ে যায়। এ কারণেই ইসলামিক স্কলাররা কাবা শরিফের উপরে তথা ছাদে নামাজ পড়া যাবে না মর্মে মত দিয়েছেন।

৮. দখলকৃত জমিতে নামাজ পড়া যাবে না। অবৈধভাবে কারো জমি দখল করে সেখানে নামাজ পড়াও নিষিদ্ধ।

৯. ‘বাবিল’ নামক অভিশপ্ত নগরী। কিংবা যেসব স্থানকে অভিশপ্ত বলে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে; সেসব স্থানেও নামাজ পড়া যাবে না মর্মে হাদিসের দুর্বল বর্ণনায় ওঠে এসেছে।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, হাদিসে উল্লেখিত এ স্থানগুলো ছাড়া নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ না থাকলেও নামাজ আদায় করে নেওয়া। নামাজের ওয়াক্তের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাসময়ে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com