শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

কপাল খুললো ডিগ্রি স্তরের ৮৪১ তৃতীয় শিক্ষকের

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৪৮ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন মামলা-মোকাদ্দমা আর হয়রানির পর অবশেষে এমপিওভুক্ত হলেন ডিগ্রি কলেজের ৮৪১ জন তৃতীয় শিক্ষক। তাদের এমপিওভুক্তির আদেশ দিয়ে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেয়ে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এসব শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হলে বছরে ২৫ কোটির বেশি টাকা খরচ হবে। তবে এক দশকের বেশি সময় বিনা বেতনে চাকরি করা শিক্ষকদের মানবেতর জীবনযাপনের অবসান হতে যাচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মো. কামরুল হাসানের সই করা প্রজ্ঞাপনে ৪ শর্তে ৮৪১ শিক্ষকের এমপিওভুক্তির আদেশ জারি করা হয়।

গত ২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেই প্রস্তাবে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি স্তরের প্রতিটি ঐচ্ছিক বিষয়ে দুজন শিক্ষকের নিয়োগসহ এমপিওভুক্তির বিধান রয়েছে।

অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অধিভুক্তি সংক্রান্ত রেগুলেশন অনুযায়ী ডিগ্রি স্তরে প্রতি ঐচ্ছিক বিষয়ে তিনজন শিক্ষক নিয়োগের বিধান আছে। এ বিধান থাকলেও তৃতীয় শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা হয় না।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি ডিগ্রি স্তরের ১৫৩ তৃতীয় শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা হয়। একই বছরের ২৮ আগস্ট ২০১০ সাল পর্যন্ত বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অধিকাংশ তৃতীয় শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে ২০১০ সালের পর বিভিন্ন ডিগ্রি কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত আনুমানিক ৮৪১ তৃতীয় শিক্ষক রয়েছেন। তারা এখন পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। এ শিক্ষকরা অর্থ বিভাগ কর্তৃক জনবল কাঠামোভুক্ত নন। এ কারণে তৃতীয় শিক্ষকদের যোগ্যতা ও বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও কর্মরত থাকা সাপেক্ষে এমপিওভুক্তিকরণে সম্মতির অনুরোধ জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) ডা. সৈয়দ ইমামুল হোসেন বলেন, তৃতীয় শিক্ষক পদটি রেগুলার এমপিওভুক্ত পদ নয়। তাদের এমপিওভুক্ত করতে হলে আর্থিক বিষয়টির কথা আসে। তাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। অর্থ মন্ত্রণায়ের অনুমোদন পাওয়ার পর তাদের এমপিওভুক্ত করা প্রস্তুতি শুরু করেছি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সাল থেকে ডিগ্রি পর্যায়ের তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয়। ২০১১ সাল পর্যন্ত এ শিক্ষকদের নিয়মিত এমপিওভুক্তি দেওয়া হতো। কিন্তু ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নন-এমপিও শিক্ষকদের নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

মাউশির মতামতে, এমপিওভুক্ত ডিগ্রি কলেজের জনবল কাঠামো-২০১০ প্রকাশের পর বিধি মোতাবেক তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ৮৪১ জন। তাদের এমপিওভুক্ত করা হলে সরকারের বার্ষিক ২৫ কোটি এক লাখ ১৩ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয় হবে।

যেসব শর্তে এমপিওভুক্ত হলেন শিক্ষকরা
> সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি স্তরটি সরকারি এমপিওভুক্ত হতে হবে।
> এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগকালীন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
> নিয়োগকালীন বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত হতে হবে।
> ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্তদের এমপিওভুক্ত করতে হবে এবং আগে তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে নতুন করে তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com