বগুড়া জেলা পরিষদের সদস্য ও নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানার বিরুদ্ধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার তাঁর চার শ্যালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এই অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তাঁর চার শ্যালিকা উল্লেখ্য করেন, ‘আমাদের বাবা মরহুম সেখ সরিফ উদ্দিন উত্তরবঙ্গে প্রতিষ্ঠিত “সরিফ বিড়ি”সহ একাধিক ব্যবসা সফল প্রতিষ্ঠান তাঁর নিজে গড়ে তোলেন। ১৯৮৬ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের মা দেলওয়ারা বেগম পাঁচ বোনকে নিয়ে ব্যবসার হাল ধরেন এবং তা ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত করেন। পাঁচ বোনের মধ্যে সবার বড় বোন আকিলা শরিফা সুলতানা খানমের স্বামী সাইফুল ইসলাম ২০০৬ সালে মারা যান। ওই সময়ে প্রতিষ্ঠানের ১৫০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন আনোয়ার হোসেন রানা। বড় বোনের স্বামী মারা যাওয়ার পর আনোয়ার হোসেন তাঁকে ২০০৯ সালে ভুল বুঝিয়ে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। যদিও রানার আগে স্ত্রী-সন্তান আছে।’
অভিযোগে আরও বলা আছে, ‘রানা আমাদের বোনকে বিয়ের পর আঙুল ফুলে কলা গাছ হতে শুরু করে। আমাদের সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। আমাদের মায়ের সরলতার ও অক্ষরজ্ঞানহীন তার সুযোগ নিয়ে এক প্রকার অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সম্পত্তিসহ অংশীদার অর্থাৎ আমাদের ঠকিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে দলিল করে নেন। এ ক্ষেত্রে বড় বোন তাঁকে সহযোগিতা করেন।’
আনোয়ার হোসেন রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর শ্বশুরের বগুড়ার শাকপালা মৌজার ২০ শতাংশ জমি, সূত্রাপুর মৌজার ৯৮ শতক জমি এবং ঢাকার মোহাম্মদপুরের ১৪০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট দখল করে নেন। এ ছাড়া তাঁর শাশুড়ির নামে বিভিন্ন ব্যাংকে সংরক্ষিত এফডিআর ও গচ্ছিত প্রায় শত কোটি টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেন।
জানা যায়, এসব ঘটনা অভিযোগ হিসেবে বগুড়া সদর থানায় দেওয়ার পর পুলিশ তদন্ত করে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন। ওই অভিযোগে আনোয়ার হোসেন ও তাঁর স্ত্রী গ্রেপ্তারও হন। সেই মামলায় বর্তমানে তাঁরা জামিনে আছেন।
জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে শুরুতে কল ঢুকলেও পরবর্তীতে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।