ইউক্রেনে ‘আক্রমণ’ চালিয়ে ‘ঐতিহাসিক ও মৌলিক ভুল’ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর ফলে পুতিন এখন বিশ্ব থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
শুক্রবার (৩ জুন) ফ্রান্সের আঞ্চলিক একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমি তাকে (পুতিন) বলেছিলাম, তিনি তার জনগণের জন্য, নিজের জন্য এবং ইতিহাসেও অন্যতম বড় একটি মৌলিক ভুল করেছেন।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে শুরু হওয়া রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান একশ’ দিনে গড়িয়েছে শুক্রবার। এ সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের পাঁচটি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে মস্কো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, তার দেশের ২০ শতাংশ অঞ্চল তথা পাঁচভাগের একভাগই রুশ বাহিনীর দখলে চলে গেছে।
এদিকে রাশিয়াকে ঠেকাতে আবারও পশ্চিমাদের কাছে অস্ত্র সহায়তা চেয়েছেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদ দেয়া নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জোট প্রধান।
সীমান্তে ইউক্রেনের সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধে ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে বিশেষ সেনা অভিযান শুরু করে রাশিয়া। সময়ের পরিক্রমায় ওই অভিযান একশ’ দিন পার করলেও, কমেনি অভিযানের মাত্রা। প্রতিদিনই হামলা-পাল্টা হামলা চলছে। দফায় দফায় গোলাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে একের পর এক এলাকা। বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
সম্প্রতি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দোনবাসে সেনা অভিযান জোরদার করেছে রাশিয়া। এরপর থেকেই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রায় প্রতিদিনই রকেট হামলা চালিয়ে আসছে পুতিন বাহিনী। এরই মধ্যে কয়েকটি অঞ্চলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে তারা।
সবশেষ দোনেৎস্কের উপশহর সেভেরোদোনেৎস্ক দখলে নিতে দফায় দফায় গোলাবর্ষণ করে আসছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনীয় সেনারা অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ হারানোর দ্বারপ্রান্তে বলেও জানান স্থানীয় গভর্নর।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি, রুশ বাহিনী দেশটির প্রায় ২০ শতাংশ অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ইউক্রেনের পঞ্চম অঞ্চল হিসেবে সেভেরোদোনেৎস্কের অধিকাংশ এলাকাও রুশ সেনাদের দখলে চলে গেছে বলেও দাবি তার।
এ অবস্থায় রাশিয়াকে ঠেকাতে পশ্চিমাদের কাছে আরও বেশি করে অস্ত্র সহায়তা চেয়েছেন জেলেনস্কি।