প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠিত হওয়া উচিত। এজন্য অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন, যেখানে ভোটাররা নির্বিঘ্নে পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিতে পারবেন। আগামী সংসদ নির্বাচন সফল করতে আমরা আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই, একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মুকিতের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। অন্যদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও ৪ নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে সব দলকে অংশ নেয়ার আহ্বান করা হবে। নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হেলাফেলার বিষয় নয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শাসকদল নির্বাচিত হবে ও তারা সরকার গঠন করবে।
তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, কোনো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে আমরা তাদের বাধ্য করতে পারব না। তবে আমরা বারবার তাদের অনুরোধ করে যাব। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে আমরা আপনাদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
সিইসি বলেন, নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার- এ রকম প্রস্তাবনা অন্যান্য দল থেকেও এসেছে। এগুলো আসলে রাজনৈতিক বিষয়। আপনাদের দাবিগুলো সরকারকে জানানো হবে। দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু তা সরকারকে বুঝতে দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সংলাপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বলছে, নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা, অর্থশক্তি, পেশিশক্তি প্রয়োগ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সবার বক্তব্যে ঐকমত্য আছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবো।
সিইসি বলেন, শেষ সময়ে পোলিং স্টেশনগুলোতে নির্বাচন কমিশন একা কাজ করবে না। সে সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এমনকি সেনাবাহিনীর অংশ নেয়ার দরকার হতে পারে।
এদিন গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান মো. জাকির হুসেনের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়।
এ সময় সিইসি বলেন, কোনো অপশক্তির চাপে মাথানত না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। সংসদ নির্বাচন একটি কঠিন ও ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। সবার আন্তরিক ও সমন্বিত প্রয়াস থাকলে এমন কঠিন কর্মযজ্ঞ সাধন অসাধ্য নয়।