স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটির ৪৫ নং ওয়ার্ড কে সি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজধানীর উত্তরখান থানার কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে আলোচনা সভা, দোয়া ও গনভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
৪৫ নং ওয়ার্ড কে সি ফাউন্ডেশন সভাপতি ইমরান হোসেন গুয়েল ও সাধারন সম্পাদক তোহাদুল ইসলাম নয়নের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিস্ট সমাজ সেবক বারেক মোড়ল।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কে সি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব খসরু চৌধুরী সিআইপি। তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ৬৯ এর আন্দোলন থেকে ৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন করে সোনার বাংলা গড়ার শপ্ন দেখেছেন কিন্তুু ৭৫ এর ১৫ ই আগষ্টের কালোরাতে খুনী মোস্তাকের কুলাঙ্গার বাহিনী নির্মম ভাবে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সকলকে হত্যা করে। সেই সময় জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন দেশের বাহিরে থাকায় বেঁচে যান। ৮১ সালে বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার সপ্ন বাস্তবে রুপ দেওয়ার মিশনে নামেন। তিনি পদ্ধাসেতু নির্মান, কর্ণফুলি টানেল , মেট্রোরেল, এলিভেরেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সহ অসংখ্য উন্নয়ন মুলক কাজ করেছেন। সামনে নির্বাচন আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। না হয় ঐ কুলাঙ্গারের দল এখনো সোচ্চার রয়েছে তারা ষড়যন্ত্র করতেছে।
তিনি আরোও বলেন, কে সি ফাউন্ডেশন একটি সমাজসেবা মুলক সংগঠন । মসজিদ, মাদ্রাসা, এলাকার উন্নয়ন, সেবা মুলক কাজ করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় শোকের মাসে মাসব্যাপী বিভিন্ন এলাকায় আলোচনা সভা দোয়া ও তবারক বিতরণ করে যাচ্ছে। আপনারা বঙ্গবন্ধু সহ পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করবেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। তিনি বেঁচে থাকলে এই দেশ অতি শিগ্রই উন্নত দেশে পরিনত হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেসি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক মোঃ শাহ আলম, উত্তরখান থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলনসহ স্থাানীয় আওয়ামী লীগের নের্তৃবৃন্দ।