সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::

শিকদার গ্রুপের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও দুদকে অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩
  • ৬৫ বার পঠিত

শিকদার গ্রুপের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)বরাবর অভিযোগ করেছেন জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা জি কে বাবুল আহমেদ।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ অভিযোগ জমা সহ দুনীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গত ৬ মার্চ আরো একটি আবেদন জমা পড়েছে,এ অভিযোগপত্রে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল হক সিকদারের বিপদগামী দুই সন্তান বাবার নামকে কলঙ্কিত করেছে। এদের নজিরবিহীন অন্যায়, অবিচার ও লুটপাটের কারণে ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ ও পাওয়ার প্লান্টটিকে দুনীতির স্বর্গরাজ্য বানিয়ে এখন দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌছেছে। এই ব্যাংকটি সকল নিয়ম ভেঙ্গে ফেলেছে। শুধু তাই নয় এদেরকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করে এদেরকে এ্যাওয়ার্ড পদকে ভূষিত করা যেতে পারে। তার কারণ ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ এর পরিচালনা পর্ষদের শিকদার পরিবার একের পর একটা অঘটন ঘটিয়ে চলেছে। এদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারি সংস্থার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা বলেই শিকদার পরিবারের দুই পুত্র পাওয়ার প্লান্ট ও ব্যাংকের টাকা লুট করে থাইল্যান্ড এবং দুবাইতে বিনিয়োগের নামে আলিশান বাড়ি ও ফ্লাট কিনে, চিত্র বিনোদনের জন্য রিসোর্ট বানিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করছে। এরা শুধু ব্যাংক থেকেই নয় শিকদার পরিবার পাওয়ার প্লান্টের নামে হরিলুট করে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে শতকোটি টাকা লুটপাট ও পাঁচার করেছে শিকদারের দুই ছেলে ও তাদের কথিত এমডি এবং একান্ত সহযোগি মোহন সাহেব। দিন দিন এরা এতোটা বেপরোয়া হয়েছে যে, এরা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের অপব্যবহার সহ নানান ধরনের জালিয়াতি করেছে,যেটা বিভিন্ন পত্র প্রতিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে । কিছুদিন আগে একটা ব্যাংকের ডি এম ডিকে গুলি করে আত্ম গোপনে কদিন থেকে জামিন নিয়ে পুনরায় বিতর্কিত ও বেনামীয় প্রতিষ্ঠানের নামে লোন পাশ করিয়ে কমিশন বাণিজ্য করে চলেছে। সম্প্রতি ভয়ংকর এক ব্যাংক লুটেরাজ আলি হায়দার রতন, যে একাধিক কোম্পানী সাজিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা লুট করে, এই রতন বিভিন্ন ব্যাংককের ব্লাক লিস্টের তালিকায় রয়েছে। সেই রতনকে কিভাবে শতকোটি টাকা লোন দিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। যার একটি অংশ তেইশ কোটি টাকা কদিন আগে রাত আট টার পর ব্যাংক থেকে উত্তোলনের ঘটনায় শুধু ব্যাংক পাড়াতেই নয় সারাদেশসহ মিডিয়া পাড়াতেও সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। একজন কালো তালিকা ভুক্ত ব্যাংক লুটেরাজ কিভাবে শত কোটি টাকা ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ থেকে লোন অনুমোদন করিয়ে সেই টাকারই পার্টপেমেন্ট রাত ৮ টার পরে গুলশান ব্রান্স থেকে প্রায় ২৩ কোটি টাকা উত্তোলনের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়েছে এই দুবিত্ব ব্যাংক রতন ও শিকদার পুত্র রণ হক এবং রিক হক শিকদার এছাড়া এদের এসব অপকর্মে সহায়তাকারী ব্যাংক ব্রান্স ম্যানেজার।
পাওয়ার প্লান্টের নামে ভয়াবহ লুটপাট আর দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা পা্চার কারি এই রন হক ও রিক হক আর হুন্ডি মোহন এবং ব্যাংক লুটেরাজ রতনের মতো মাফিয়া ও গডফাদারেরা কি সবসময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকবে?

বর্ণিত বিষয়ের আলোকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী ও দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বর্ণিত সংগঠনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com