রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারে সম্মত জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া রাশিয়ার ওপর আবার নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১৩ বছর পর ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাধীনতা বিরোধীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, সবার সতর্ক থাকা জরুরি : আমিনুল হক মাইলস্টোন স্কুলের আহত শিক্ষার্থীর পাশে “আমরা বিএনপি পরিবার” অবসরপ্রাপ্ত ৭৮ কর্মকর্তার পদোন্নতির সুপারিশ যতোই চ্যালেঞ্জিং হোক, সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা এনবিআরের ৪১ অতিরিক্ত কর কমিশনার বদলি সম্প্রতি ফ্লাইটসমূহে কারিগরি ত্রুটির প্রেক্ষিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গৃহীত পদক্ষেপ

গরুর মাংস ৫৮০ টাকা কেজি

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩
  • ১৪৩ বার পঠিত

শহরের বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০-৭২০ টাকা। গ্রামের বাজারে ৬৮০ টাকা। এমন সময়ে ৫৮০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন কসাই নজরুল ইসলাম ওরফে কালু।

ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার গাবতলী উপজেলায়। বিষয়টি লোকমুখে এবং ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ভিড় থাকছে তার দোকানে। এক বছর ধরে বাজারের চেয়ে কম দামে মাংস বিক্রি করছেন নশিপুর ইউনিয়নের শিমুলতলী মোড়ে নজরুল ইসলাম ওরফে কালু কসাই।

জানা যায়, বগুড়া শহরের সাতমাথা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে শিমুলতলী মোড়। বাগবাড়ী সড়কের এই মোড় এখন পরিচিত হয়ে উঠেছে কালু কসাইয়ের ‘গোশত ঘর’ হিসেবে। শহর থেকে ৩০ টাকা অটোরিকশা ভাড়ায় ছুটছেন ক্রেতারা। যাতায়াতে ৬০ টাকা খরচ হলেও বাজারের চেয়ে সাশ্রয় হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা।

মঙ্গলবার সকালে শিমুলতলী মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়দের চেয়ে মাংস কেনার জন্য অন্য এলাকার মানুষের ভিড় বেশি। সোনাতলা উপজেলার বালুয়াহাট থেকে এসেছেন মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বালুয়াহাটে প্রতি কেজি মাংস ৬৮০ টাকা। ফেসবুকে দেখেছি, এই মোড়ে মাংস ৫৮০ টাকা কেজি। এক কেজি মাংসে ১০০ টাকা কম। এ কারণে মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছি। ১০০ টাকার তেল খরচ হলেও ৩০০ টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা বাদশা মিয়া জানান, ‘বাইরের এত মানুষ প্রতিদিন মাংস কিনতে আসেন যে এলাকার মানুষ কালুর দোকান থেকে মাংস নিতে পারেন না। দূর-দূরান্তের মানুষ এলাকার অতিথি, এ জন্য তাদের আগে মাংস দিয়ে বিদায় করতে হয়। এলাকার যারা মাংস নিতে চান তারা আগে কালুকে বলে যান, পরে এসে মাংস নিয়ে যান।

কসাই নজরুল ইসলাম কালু জানান, প্রায় ২৬ বছর ধরে তিনি এই পেশায় জড়িত। এক বছর আগেও তিনি বাগবাড়ী বাজারে মাংস বিক্রি করতেন। কিন্তু গত বছর সেখানে টোল বাড়ানো হয়। এত টাকা কেন দিতে হবে, এ নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তখনই তিনি হাটে দোকান না করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর বাড়ির পাশে শিমুলতলী মোড়ে দোকান বসান।

তিনি আরো জানান, ওই সময় হাটে মাংস বিক্রি হচ্ছিল ৫৫০ টাকা কেজি। তিনি তখন ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি শুরু করেন। তখন শহরে দাম ছিল ৬০০ টাকা কেজি। এই কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তার দোকানে ক্রেতা বাড়তে থাকেন।

কালু জানান, আগে হাটে দোকান দিয়ে দিনে একটা গরুও বিক্রি হতো না। এখন সপ্তাহে অন্তত ২৫টা গরু বিক্রি হচ্ছে। চারজন কর্মচারীর মজুরি বাদ দিয়ে গরুপ্রতি ৫০০ টাকা টিকলেও মাসে ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকে। তিনি জানান, হাটের টোল যেখানে কম, সেসব এলাকার কসাইরা চাইলেই কম দামে মাংস বিক্রি করতে পারেন। এতে হয়তো লাভ কম হবে, কিন্তু মানুষের উপকার হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com