শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

গাজীপুর সিটি নির্বাচন; প্রার্থিতার দৌঁড়ে এগিয়ে কিরণ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৭৬ বার পঠিত

তফশিল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোশেরশন নির্বাচনের কার্যক্রম। এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন কে পাচ্ছেন, সেদিকেই সবার নজর। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে কৌতূহল, চলছে বিশ্লেষণ।
প্রার্থিতার দৌঁড়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ। মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে কিরণ দক্ষতার সঙ্গে সামলে আসছেন গাজীপুর সিটি। তিনি এর আগেও আড়াই বছর ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন।
গাজীপুরের স্থানীয় সাধারণ মানুষ, সচেতন-রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী মহল মনে করছেন দ্বিতীয় বারের মতো ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পাওয়া আসাদুর রহমান কিরণই পাবেন নৌকার টিকিট। তার বিরুদ্ধে একটি চক্র নানা সময় বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করেও কেবল জনসমর্থনের কারণে কিরণকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরাও মনে করেন, দলীয় হিসাব নিকাশে কিরণের পাল্লাই ভারী। তারা চান, সিটি সামলাতে অভিজ্ঞ কিরণকে দলের হাইকমান্ড প্রার্থী হিসেবে বাছাই করবেন।
এছাড়া গাজীপুরের অবিসংবাদিত নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার পরিবারের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে কিরণের ওপর। ভারপ্রাপ্ত মেয়র হওয়ার আগে থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক।
পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক কর্মী, সংগঠক, মেধাবী ও যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতাও বেশি। ফলে কিরণ অনায়াসে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারেন। আর এসব কারণে আসাদুর রহমান কিরণই আর সবাইকে ছাড়িয়ে এগিয়ে রয়েছেন প্রার্থীতায়।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৭ এপ্রিল। আর বাছাই হবে ৩০ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৮ মে পর্যন্ত। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৯ মে। আর ২৫ মে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন তথা ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এরইমধ্যে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেতে দৌঁড়ঝাপ করছেন অনেকে। তবে তাদের মধ্যে কিরণই এগিয়ে। একদিকে জাহাঙ্গীর আলম বিতর্কিত অপরদিকে আজমত উল্লা খানের কর্মী বাহিনীও নেই। আবার সাংগঠনিক তৎপরতাও ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগও কম। তাই বর্তমান ভারপ্রপ্ত মেয়র কিরণের বিকল্প আর কেউ নেই বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
দলের নেতাকর্মীদের ভাষ্য, ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে কিরণের প্রধান কাজই ছিলো দলের ভাবমুর্তি ফিরিয়ে আনা এবং গাজীপুরের মেয়র পদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা। অভিজ্ঞ এই জনপ্রতিনিধি বেশ ভালোভাবেই এ কাজটি করেছেন।
গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করে আসা আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ৪০ লাখ মানুষের গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জন্য কাজ করে যাব। নগরবাসীর জন্য ভালো কিছু করব। সাধারণ জনগণ ছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীরা যাতে আমার কোনো কাজে কিংবা আচরণে কষ্ট না পান, আমি সচেষ্ট থাকব।’
গাজীপুর মহানগর শিল্প-কলকারখানা অধ্যুষিত। দেশি-বিদেশি বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠির বিনিয়োগ আছে গাজীপুর মহানগর এলাকায়। তাই এখানকার ব্যবসায়ীরাও চান শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব একজন মেয়র।
বড় ব্যবসায়ীদের কয়েকজনের সঙ্গে আলাপে বুঝা গেছে, তারা সরাসরি কারো নাম উল্লেখ না করলেও আসাদুর রহমান কিরণের মতো দক্ষ-অভিজ্ঞ মেয়রই তাদের প্রত্যাশা।
আসাদুর রহমান কিরণের স্বপ্নও শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর মহানগরীকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলা। বলেন, ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করব। হোল্ডিং ট্যাক্সসহ বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্সসেবা অটোমেশনের আওতায় আনার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রেখেছি। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে গাজীপুরকে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলব।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচন ঘিরে জানতে চাইলে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর আমরা সবাই আস্থাশীল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেবেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com