বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
মে দিবসে সিলেটে জাতীয় শ্রমিক পার্টির র‌্যালি ও সমাবেশ। মহান মে দিবসে শ্রমিকদের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড আজ মহান মে দিবস, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন কুমিল্লায় স্কুল থেকে ফেরার পথে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা ৩য় দিন সিলেটে জাতীয় পার্টির ছাতা, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ সিলেটে জাতীয় পার্টির বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ শিক্ষাবিদ হাসানুজ্জামানের ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা’ বই প্রকাশিত হলো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনর কাজ পরিদর্শন করেন মেয়র ডা: তাহসিন বাহার সূচনা ভারতের মসলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্বেগ

সাড়ে পাঁচ হাজার সার্টিফিকেট দিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তা, জানতেন ঊর্ধ্বতনরা

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২ বার পঠিত

রাজধানীর পীরেরবাগ থেকে টাকার বিনিময়ে আসল সার্টিফিকেট তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানের অপকর্মের বিষয়ে জানতেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বোর্ডের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা তার কাছ থেকে আর্থিক ভাগ নেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কয়েক দিন আগে পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছিলাম। এই সার্টিফিকেট কিন্তু জাল নয় বরং সরকার যে কাগজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেয় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান একই কাগজ ব্যবহার করে সার্টিফিকেট বানাতেন। অর্থাৎ তিনি শিক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকেট বানাতেন।

রেজাল্ট অনুযায়ী তিনি টাকা নিতেন, তবে ৩৫ হাজারের কমে কাজ করতেন না। সার্টিফিকেট বানানোর পর সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারে আপলোড করে দিতেন। এই সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছেন, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন, আবার অনেকে চাকরি করছেন। এভাবে তিনি সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট দিয়েছেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনেক চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছেন।

ডিবিপ্রধান বলেন, শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ তৈরির কাগজ কীভাবে বের করা হতো, এ প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছেন, সবাইকে ম্যানেজ করে অর্থাৎ শিক্ষা বোর্ডের সবার সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করা হতো। এমনকি তার এই সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও জানতেন। সবাই তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, শামসুজ্জামানের অবৈধভাবে সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়ে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলেন অনেক কিছু বেরিয়ে আসছে। ফলে সেটি ধামাচাপা পড়ে যায়। এরপর অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কম্পিউটার কাউন্সিলে। তারাও চুপ হয়ে যায়।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শামসুজ্জামান আমাদের বলেছেন, সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সবাই জানতেন। টাকার বিনিময়ে সবাই তার কাছে ম্যানেজ হতো। সবকিছুই তদন্ত করছি। শামসুজ্জামানের অপকর্মের বিষয়ে কারা তদন্ত করতে গিয়ে চুপ হয়ে গেছেন তাদেরও আমরা খুঁজছি। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই করে কোন কোন রাঘব বোয়াল জড়িত, সবার নাম প্রকাশ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com