মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে যে বার্তা দিলেন ড. ইউনূস মিরাজের গাড়ি আটকে দিলেন বিক্ষুব্ধ দর্শকরা বাদাম চাষী থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার পুলিশের মধ্যে অপরাধীদের বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করা হবেঃ ড. মুহাম্মদ ইউনূস তারিক সিদ্দিকীসহ ৮ শীর্ষ আমলার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই : আমিনুল হক উত্তরা সংবাদ দাতা ঃ রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশের জনগণ থেকে সম্পূর্ণরুপে বিচ্ছিন্ন ছিলো তারা। তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে ক্ষমতার মসনদে আঁকড়ে বসেছিল। আজ রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর কামারপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে তুরাগ থানা বিএনপির এক কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমিনুল হক আরো বলেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর মাজা ভেঙে দিয়েছে।সেই জন্যই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে। সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে রাষ্ট্র সংষ্কার ও মেরামতের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার রুপরেখা দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংষ্কারের ৩১ দফা আমাদের রাষ্ট্রের জন্য অত্যান্ত জরুরি হয়ে পরেছে। ৩১ দফার রুপরেখার মাধ্যমেই আমরা রাষ্ট্র সংষ্কার ও মেরামত করে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারবো। তিনি বলেন,পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে তারা গত ১৭ বছরে বিভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করেছে,২০১৮ সালে তারা রাতের অন্ধকারে ভোট করেছে ২০২৪ সালে ভোটার শূন্য ডামি নির্বাচন করেছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, তারা বাংলাদেশে শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে শেয়ার বাজারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যাংক গুলো ডাকাতি ও লুটপাট করে ধ্বংস করে ফেলেছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড.মাহদী আমিন বলেন,সংষ্কারের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করা।বাংলাদেশে সংষ্কারের জনক বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-৩০ এর মাধ্যমে অনেক আগেই সংষ্কারের ধারনা দিয়েছেন।তিনি বলেন,জনগণের নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে যে দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে সেই দলই রাষ্ট্রের সংষ্কার করবে। কর্মশালায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামান। তুরাগ থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ খোকা’র সভাপতিত্বে থানা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন। বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। উপস্থিত ছিলেন ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক,মোঃ আক্তার হোসেন,আতাউর রহমান,গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ,তুহিরুল ইসলাম তুহিন,এম কফিল উদ্দিন আহমেদ,হাজী মোঃ ইউসুফ,শাহ আলম, মাহাবুবুল আলম মন্টু,মহানগর সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার। আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর সদস্য আলী আকবর আলী, সালাম সরকার,মনিরুল আলম রাহিমী, সাজ্জাদ হোসেন,নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, রফিকুল ইসলাম খান মেম্বার,এম এস আহমেদ আলী,ইব্রাহিম খলিল,জাহেদ পারভেজ চৌধুরী,তাসলিমা রিতা, স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় কমিটি সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জামির হোসেন,কৃষকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শফিকুর রহমান মিঠু, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব মহসিন সিদ্দিকী রনি,শ্রমিক দল মহানগর উত্তর সদস্য সচিব কামরুজ্জামান,মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব এ্যাড রুনা লায়লা,জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন আনু,তাতীদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব এম এ হান্নান,ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিম এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর এর সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক,তুরাগ থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন সোহাগ রাজা,মোঃ চান মিয়া,রিপন হাসান,আলী আহমেদ,উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি নেতা আব্দুস ছালাম,দক্ষিণখান থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হেলাল তালুকদার,যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মোঃ নাজিম উদ্দীন,আনোয়ার হোসেন জমিদার,উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপি আহ্বায়ক শাহ আলম,যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিনুল হক,নজরুল ইসলাম খান,মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি যুগ্ম-আহ্বায়ক এ্যাড সাকিব সারোয়ার, বিমানবন্দর থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, যুগ্ম-আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক,বনানী থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ইমান হোসেন নূর,খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক সিএম আনোয়ার হোসেন,পল্লবী থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আনিছুর রহমান, মোকছেদুর রহমান আবির প্রমুখ। তুরাগ থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে দুপুর ৩ টায় পবিত্র কুরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে দলীয় ও দেশাত্মবোধক গান গেয়ে কর্মশালা শুরু করা হয় এবং দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বক্তব্যের পরে সভাটি সন্ধ্যা ৫.৩০ টায় সমাপ্তি ঘটে। এ সময় ৩১ দফা নিয়ে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আমিনুল হক। যুবকদের ভোটার তালিকায় আনতে চাই : সিইসি আমি একেবারে সিংগেল : ইধিকা পাল ২৯তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ভারত থেকে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

বাদাম চাষী থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গেল অক্টোবরেই শততম জন্মদিন পালন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। বয়সের সেঞ্চুরি হাকানোর পর অবশ্য বেশিদিন থাকা হলো না এই পৃথিবীতে। স্ত্রী রোজালিনকে হারানোর এক বছরের মাথায় জীবনের হিসাব চুকিয়ে তিনিও পাড়ি জমালেন অনন্তে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে জর্জিয়ার প্লেইনস শহরে নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় কার্টারের।

জিমি কার্টার যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্টারকে “নীতিবান, বিশ্বাসী ও বিনয়ী” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আর সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও তার স্ত্রী হিলারি ক্লিনটন জিমি কার্টারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, “কার্টার জীবনভর মানুষের সেবা করে গেছেন।”

এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশও কার্টারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত জিমি কার্টার ক্ষমতায় এসেছিলেন আমেরিকান জনগণের কাছে কখনও মিথ্যা না বলার অঙ্গীকার করে।

আলোচিত ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পর জর্জিয়ার সাবেক এই বাদাম চাষিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনও নেতা যিনি জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তির মধ্যস্থতা করেছেন তিনি।

তবে ইরান জিম্মি সংকট নিয়ে চুক্তি করতে এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন ঠেকাতে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। এক মেয়াদের দায়িত্ব পালনের পরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। তবে হোয়াইট হাউস থেকে বিদায়ের পর তিনি তার সুনাম পুনরুদ্ধারে মনোযোগী হন।

এরপর থেকে তিনি শান্তি, পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ে বিরামহীনভাবে কাজ করে গেছেন। এ কারণেই তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

জন্ম, শৈশব আর রাজনীতিতে প্রবেশ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সময় বেঁচে থাকা জিমি কার্টার গত অক্টোবরেই তার একশোতম জন্মদিন পালন করেন। তিনি ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এবং গত ১৯ মাস হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

জেমস আর্ল কার্টার জুনিয়র ১৯২৪ সালের পহেলা অক্টোবর জর্জিয়ার ছোট শহর প্লেইনসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা মায়ের চার সন্তানের মধ্যে তিনিই বড়। তার বাবা পারিবারিক ব্যবসা হিসেবে বাদাম চাষ করতেন, আর তার মা লিলিয়ান ছিলেন একজন নার্স। স্কুলজীবনে তিনি ছিলেন একজন তারকা বাস্কেটবল খেলোয়াড়।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে সাত বছর কাজ করে সাবমেরিন কর্মকর্তা হয়েছিলেন। সেসময়েই তার বন্ধুর বোন রোজালিনকে বিয়ে করেন। তবে, ১৯৫৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর তিনি পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরতে ফিরে আসেন।

তার রাজনীতিতে প্রবেশ হয়েছিল একেবারে তৃণমূল থেকে। জর্জিয়ার সিনেটর নির্বাচনের আগে তিনি ধারাবাহিকভাবে স্থানীয় স্কুল ও লাইব্রেরী বোর্ডের নির্বাচনগুলোতে জয়ী হয়েছিলেন। দুই দফায় সিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এরপর ১৯৭০ সালে জর্জিয়ার গভর্নর হন। এ সময় তিনি প্রকাশ্যেই নাগরিক অধিকারের পক্ষে আরও বেশী কথা বলতে শুরু করেন।

তার শপথ অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “আমি পরিষ্কারভাবেই বলতে চাই বর্ণ বৈষম্যের সময় পার হয়ে গেছে”। তিনি ক্যাপিটল ভবনে মার্টিন লুথার কিংয়ের ছবি স্থাপন করেন এবং আফ্রিকান আমেরিকানরা যেন সরকারি অফিসে নিয়োগ পান তা নিশ্চিত করেন।

১৯৭৪ সালে তিনি যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরু করেন তখন আমেরিকা উত্তাল ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে। এ সময় তিনি নিজেকে পেশাদার রাজনীতিকের চেয়ে একজন বাদাম চাষি হিসেবেই তুলে ধরেন।

শুরুতে জনমত জরিপগুলো ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে তার মাত্র চার শতাংশ সমর্থনের কথা বললেও শেষ পর্যন্ত নয় মাস পর তিনি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডকে হারিয়ে দেন। দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেন।

রিপাবলিকান সমালোচক সিনেটর ব্যারি গোল্ডওয়াটার এটিকে ‘একজন প্রেসিডেন্টের জন্য সবচেয়ে লজ্জাজনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। কার্টারও স্বীকার করেছিলেন, এটা ছিল তার জন্য খুবই কঠিন একটি সিদ্ধান্ত। তিনি তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের নিয়ে এসেছিলেন।

তিনিই প্রথম কোনও বিশ্বনেতা যিনি জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি হোয়াইট হাউসের ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়েছিলেন যা পরে রোনাল্ড রিগ্যান সরিয়ে ফেলেন। তার সময়ে আমেরিকার অর্থনীতি মন্দাবস্থায় পড়ে এবং এ কারণে তার জনপ্রিয়তাতেও ধস নামে।

তিনি সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার পরিকল্পনা করলেও কংগ্রেসের বাধার কারণে পারেননি।

শান্তির সন্ধানে
তার মধ্যপ্রাচ্য নীতি সফল হতে শুরু করেছিল। তার সময়েই ১৯৭৮ সালে মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে ঐতিহাসিক ক্যাম্প ভেডিভ চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু তার সফলতা ছিল স্বল্প সময়ের জন্য।

ইরান বিপ্লবের জের ধরে আমেরিকানদের জিম্মি অর্থাৎ ইরানে মার্কিন দূতাবাসে কূটনীতিক ও নাগরিকদের যে জিম্মি করা হয়েছিল এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের বিষয়গুলোর সমাধান করা তার জন্য তিক্ত স্বাদ নিয়ে আসে।

তিনি তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং জিম্মি আমেরিকানদের মুক্ত করতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে জিম্মিদের উদ্ধার করতে গিয়ে সাত আমেরিকান নিহত হন। এ ঘটনাই তার পুননির্বাচিত হওয়ার আশা শেষ করে দিয়েছিল।

১৯৮০ সালে দলীয় প্রার্থিতার দৌড়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েও সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির বিরুদ্ধে ৪১ শতাংশ পপুলার ভোট পান। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রোনাল্ড রিগ্যানের বিরুদ্ধে জিততে এটি যথেষ্ট ছিল না। কার্টার তার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের শেষ দিনে ‘জিম্মি মুক্তির বিষয়ে সফলভাবে চুক্তি হয়েছে বলে ঘোষণা দেন’।

হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নেওয়ার পর জিমি কার্টার তার সুনাম পুনরুদ্ধারে মনোযোগী হন। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষে উত্তর কোরিয়ায় শান্তি মিশনে গিয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক সমস্যা ও সংকট নিয়ে কাজ করে তার কার্টার প্রেসিডেন্সিয়াল সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

তিনি তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০০২ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। এরপর ২০১৫ সালে তার ক্যান্সার শনাক্ত হয়। তার বাবা-মা ও তিন বোনও একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন।

সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী ১৯৮৪ সালে চ্যারিটি শুরু করেন। তারা চার হাজারের বেশি বাড়ি সংস্কারে সহায়তা করেন। একই সাথে প্লেইনসের মারানাথা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে শিক্ষকতা অব্যাহত রাখেন তিনি। তার স্ত্রী রোজালিন কার্টার ২০২৩ সালের নভেম্বরে মারা যান।

চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমালা হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কার্টার। তার রাজনৈতিক দর্শনের মধ্যে উদারপন্থার ছাপ যেমন ছিল তেমনি তিনি আবার ধর্ম বিশ্বাস থেকে সরে যাননি।

তিনি বলেছেন, “আপনি ধর্ম বিশ্বাস ও পাবলিক সার্ভিসকে আলাদা করতে পারেন না। আমি কখনোই ঈশ্বরের ইচ্ছা আর আমার রাজনৈতিক দায়িত্বের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখিনি। আপনি একটা লঙ্ঘন করলে, আরেকটাও লঙ্ঘিত হবে”। বিবিসি বাংলা

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই : আমিনুল হক উত্তরা সংবাদ দাতা ঃ রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশের জনগণ থেকে সম্পূর্ণরুপে বিচ্ছিন্ন ছিলো তারা। তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে ক্ষমতার মসনদে আঁকড়ে বসেছিল। আজ রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর কামারপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে তুরাগ থানা বিএনপির এক কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমিনুল হক আরো বলেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর মাজা ভেঙে দিয়েছে।সেই জন্যই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে। সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে রাষ্ট্র সংষ্কার ও মেরামতের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার রুপরেখা দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংষ্কারের ৩১ দফা আমাদের রাষ্ট্রের জন্য অত্যান্ত জরুরি হয়ে পরেছে। ৩১ দফার রুপরেখার মাধ্যমেই আমরা রাষ্ট্র সংষ্কার ও মেরামত করে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারবো। তিনি বলেন,পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে তারা গত ১৭ বছরে বিভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করেছে,২০১৮ সালে তারা রাতের অন্ধকারে ভোট করেছে ২০২৪ সালে ভোটার শূন্য ডামি নির্বাচন করেছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, তারা বাংলাদেশে শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে শেয়ার বাজারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যাংক গুলো ডাকাতি ও লুটপাট করে ধ্বংস করে ফেলেছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড.মাহদী আমিন বলেন,সংষ্কারের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করা।বাংলাদেশে সংষ্কারের জনক বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-৩০ এর মাধ্যমে অনেক আগেই সংষ্কারের ধারনা দিয়েছেন।তিনি বলেন,জনগণের নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে যে দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে সেই দলই রাষ্ট্রের সংষ্কার করবে। কর্মশালায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামান। তুরাগ থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ খোকা’র সভাপতিত্বে থানা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন। বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। উপস্থিত ছিলেন ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক,মোঃ আক্তার হোসেন,আতাউর রহমান,গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ,তুহিরুল ইসলাম তুহিন,এম কফিল উদ্দিন আহমেদ,হাজী মোঃ ইউসুফ,শাহ আলম, মাহাবুবুল আলম মন্টু,মহানগর সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার। আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর সদস্য আলী আকবর আলী, সালাম সরকার,মনিরুল আলম রাহিমী, সাজ্জাদ হোসেন,নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, রফিকুল ইসলাম খান মেম্বার,এম এস আহমেদ আলী,ইব্রাহিম খলিল,জাহেদ পারভেজ চৌধুরী,তাসলিমা রিতা, স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় কমিটি সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জামির হোসেন,কৃষকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শফিকুর রহমান মিঠু, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব মহসিন সিদ্দিকী রনি,শ্রমিক দল মহানগর উত্তর সদস্য সচিব কামরুজ্জামান,মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব এ্যাড রুনা লায়লা,জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন আনু,তাতীদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব এম এ হান্নান,ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিম এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর এর সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক,তুরাগ থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন সোহাগ রাজা,মোঃ চান মিয়া,রিপন হাসান,আলী আহমেদ,উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি নেতা আব্দুস ছালাম,দক্ষিণখান থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হেলাল তালুকদার,যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মোঃ নাজিম উদ্দীন,আনোয়ার হোসেন জমিদার,উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপি আহ্বায়ক শাহ আলম,যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিনুল হক,নজরুল ইসলাম খান,মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি যুগ্ম-আহ্বায়ক এ্যাড সাকিব সারোয়ার, বিমানবন্দর থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, যুগ্ম-আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক,বনানী থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ইমান হোসেন নূর,খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক সিএম আনোয়ার হোসেন,পল্লবী থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আনিছুর রহমান, মোকছেদুর রহমান আবির প্রমুখ। তুরাগ থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে দুপুর ৩ টায় পবিত্র কুরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে দলীয় ও দেশাত্মবোধক গান গেয়ে কর্মশালা শুরু করা হয় এবং দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বক্তব্যের পরে সভাটি সন্ধ্যা ৫.৩০ টায় সমাপ্তি ঘটে। এ সময় ৩১ দফা নিয়ে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আমিনুল হক।

© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com