শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসঃ বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৪.১ শতাংশে নামবে পরিবেশ রক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে: উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যমে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট খুবই জরুরি: প্রেস সচিব সুস্থ সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে খেলাধুলা অন্যতম একটি মাধ্যম : আমিনুল হক জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে সাইফের উপর হামলাকারী ‘সেই যুবক’ গ্রেফতার অবশেষে ভারতের ভিসা পেলেন সাকিব ট্রাম্পের সময়েও যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন চান জেলেনস্কি ফেসবুকে নিজের সম্পদের বিবরণ দিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব প্রধান উপদেষ্টা সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন মঙ্গলবার

সংবাদমাধ্যমে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট খুবই জরুরি: প্রেস সচিব

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২ বার পঠিত

সিটিজেন প্রতিবেদকঃ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংবাদমাধ্যমে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট জরুরি। তিনি বলেন, “আপনি দুই মাস পরিশ্রম করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করলেন, আর সেটি কেউ অনুমতি ছাড়া কপি করে ব্যবহার করল—এটি মেনে নেওয়া যায় না। কপিরাইট সুরক্ষিত না হলে সাংবাদিকদের আয়ের উৎস ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি বলেন, আমাদের কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট খুবই জরুরি। এ বিষয়ে সব সাংবাদিকদের জোরালো কথা বলতে হবে। আপনি দুই মাস খেটে একটা নিউজ করলেন, সেটা অন্য কোনো নিউজ পোর্টাল এক সেকেন্ডে কপি করে ফেলল। আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর একটা ছবি তুললেন, সেটা একটা বড় পত্রিকায় আপনার অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করে ফেলল। আপনাকে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট দিতে হবে। কারণ এটি আপনার আয়ের উৎস।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণমাধ্যম চাই’ এর ব্যানারে ‘গণমাধ্যম সংস্কার প্রস্তাব: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, যারা চুরি করে তাদের বন্ধ করে দেওয়া উচিত। প্রেস কাউন্সিল অনেক কথা বলে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অনেক কথা বলে, নোয়াব অনেক কথা বলে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো উচিত যারা এরকম চুরি করছে, তাদের বন্ধ করে দেওয়া। এই চুরি করার কারণে আপনার আমার বেতনটা কমে যাচ্ছে। কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট আমাদের দেশে নাই বলে সবাই চুরি করে।

তিনি আরও বলেন, জার্নালিজম করতে হলে আপনাকে পয়সা খরচ করতে হবে। পয়সা না থাকলে আপনি গো অ্যান্ড ফাঁক অফ। আপনাকে সাংবাদিকদের বেতন দিতে হবে। জার্নালিস্টদের রক্ত এত সহজ না। জার্নালিস্টদের নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের সত্যিকার অর্থে এই বিষয়টি দেখা উচিত।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শফিকুল আলম বলেন, আমাদের গার্মেন্টস সেন্টারে কর্মীরা যদি তাদের বেতনের জন্য এত বড় ফাইট করতে পারে, আপনারা কেন পারবেন না। আপনি যে সংবাদ মাধ্যমে চালান না কেন, আপনাকে ভালো সাংবাদিক রাখতে হবে এবং মিনিমাম মজুরি দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের সংস্কার আমরা করতে যাচ্ছি কারণ গণমাধ্যমকে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকার ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশে যতগুলো গণমাধ্যম আছে, সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার এবিলিটি তাদের ছিল। ডিজেআইএফ এর একটা ফোন কল, এনএসআইয়ের একটা ফোন কল, ডিজির একটা ফোন কল, মিনিস্টারের একটা ফোন কল এনাফ ছিল। আইসিটি নামে যেটা ছিল সেটা ন্যায় বিচার ছিল না। সেটা ভয়াবহ অন্যায় বিচার ছিল।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে থাকা নসরুল হামিদ মিলনায়তন নসরুল হামিদ তার নিজস্ব টাকায় করেছেন কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। এই নামটি রাখা উচিত কিনা তা রিপোর্টার ইউনিটিকে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাজ্য দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আকবর হোসেন বলেন, ৫ আগস্টের পরে আমরা অনেক পরিবর্তনের কথা বলছি। আমরা যদি মালিকানার জায়গাটায় গার্মেন্টস সেক্টরে মতে ন্যূনতম মজুরির কথা বলছি। কিন্তু কয়টা মিডিয়ায় এই মানদণ্ড আছে ? ওয়েজবোর্ড যেটা আছে সেটা শুধু পত্রিকার জন্য। আমরা যদি একটা মানদণ্ড ঠিক করতে পারি, আপনি যদি এটা ঠিক করতে পারেন, তাহলে আপনি পত্রিকা রান করতে পারবেন, নাহলে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, অনেকে আছে যারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু ইনহাউজে তার রিপোর্টারকে কেয়ারই করে না। একটা রিপোর্টারের কতটা খাটুনি, সপ্তাহে মানসম্পন্ন রিপোর্ট করতে কত খাটুনি যায়, সেটা তারা কেয়ারই করে না। মিডিয়া হাউজগুলোর একাউন্টেবিলিটি থাকা দরকার। আমাদের ভুল হতে পারে। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কোনো কিছু করা পরিহার করতে হবে। মিডিয়া হাউজে থেকে আপনি একটিভিজম করবেন আর বলবেন স্বাধীনতা নাই এটা করা যাবে না। আপনি সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে একটিভিজম করবেন, সমালোচনা করবেন, তাতে কোনো সমস্যা নেই।

আলোচনা সভা থেকে ১৩টি প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে— গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, গণমাধ্যমে নৈতিকতা ও পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, সরকারি নিয়ন্ত্রণ রোধে স্বতন্ত্র গণমাধ্যম কমিশন গঠন, মালিকানা ও অর্থায়নের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, সাংবাদিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও চাকরির নিরাপত্তা, বেতন কাঠামোর সংস্কার, সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংস্কার, সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন, বাজেটে গণমাধ্যমের জন্য বরাদ্দ রাখা, গণমাধ্যম নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজিকরণ, আঞ্চলিক ও বিকল্প গণমাধ্যমের উন্নয়ন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণ এবং জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন- ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই এর মুখপাত্র প্লাবন তারিক, আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন শিশির, সাইবার অ্যাক্টিভিস্ট আব্বাস উদ্দিন নয়ন, আইনজীবী মোল্লা ফারুক এহসান এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রভাষক মাহবুব আলম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com