আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ দ্বিতীয় বছরের মতো ২০২৫ সালে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা জানিয়েছে কানাডা। মূলত আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য পরিষেবার ওপর চাপ সামাল দিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
শুক্রবার কানাডার অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি অনুযায়ী, দেশটি চলতি বছর চার লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীকে স্টাডি পারমিট (পড়াশোনার অনুমতি) দেবে। সংখ্যাটি গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ কম।
গত কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিপুলসংখ্যক নাগরিক কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন। এর ফলে দেশটিতে ব্যাপক আবাসন সংকট তৈরি হয়েছে। যে কারণে দেশটির সরকার জনসংখ্যায় লাগাম টানতে ২০২৪ সালে বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্টাডি পারমিটের সংখ্যা হ্রাস করে।
আগামী মার্চে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কথা রয়েছেন জাস্টিন ট্রুডোর। দেশটিতে অভিবাসনের হার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন জরিপে দেশটিতে নতুন করে আসা অভিবাসীদের প্রতি জনসমর্থন প্রচুর কমতে দেখা গেছে।
এর আগে, ২০২৩ সালে সাড়ে ৬ লাখের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীকে দেশটিতে পড়াশোনার অনুমতি দিয়েছিল কানাডা। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর শিক্ষার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে শীর্ষ পছন্দের দেশ কানাডা।
দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে কানাডায় সক্রিয় ভিসাধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখে পৌঁছায়। ১০ বছর আগে, ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার।
অভিবাসনের কারণে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটিতে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো বিভিন্ন পরিষেবায় ব্যাপক চাপ তৈরি এবং আবাসন ব্যয় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অভিবাসীদের আশ্রয় এবং কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য কানাডার সুখ্যাতি আছে। কিন্তু আবাসনের ব্যয় বাড়ার কারণে চাপের মুখে পড়েছে দেশটির সরকার।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমাতে কানাডার সরকারের গত বছরের নেওয়া পদক্ষেপের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এখন থেকে স্টাডি পারমিট আবেদনকারীদের কানাডার যেকোনও একটি প্রাদেশিক বা টেরিটোরিয়ায় প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। চলতি বছরে যারা দেশটিতে মাস্টার্স এবং পোস্ট-ডক্টরাল করার জন্য যাবেন, সেই শিক্ষার্থীদেরও এই প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে।
সূত্র: রয়টার্স।