হাফসা উত্তরা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উত্তরখান পূর্ব থানা অংশের উদ্যোগে আজ ৭ই ফেব্রুয়ারি জুম্মার নামাজ শেষে বিকাল ২:৩০ ঘটিকায় কর্মী সন্মেলন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।
উত্তরখান হযরত শাহ্ কবির (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে এ বিশাল কর্মী সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সম্মানীত আমীর মুহতারাম মো: সেলিম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়বে আমীর মুহতারাম আবদুর রহমান মুসা। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারী ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি জনাব নাজিম উদ্দিন মোল্লা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও উত্তরা পূর্ব জোনের পরিচালক মুহাম্মদ জামালউদ্দিন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য ও উত্তরখান পূর্ব থানা এলাকার আমীর মো: ইসরাইল হোসেন।
এ ছাড়াও ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য এবং উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম জোনের বিভিন্ন থানা আমীরবৃন্দ, উত্তরখান পূর্ব থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ, ওয়ার্ড সভাপতিসহ বিপুল সংখ্যক কর্মী, সুধী ও শুভাকাঙ্ক্ষী উপস্থিত ছিলেন।
কর্মী সম্মেলন উদ্বোধন করেন জুলাই ‘২৪ এর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ আমীরুল ইসলামের মামা হারুনুর রশিদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উত্তরখান পূর্ব থান এলাকার সেক্রেটারী মো: সামছুল কবির বাহার।
কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসীবাদের বিদায় হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে; এই সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ এবং অবক্ষয়মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।এ সময় তিনি আরো বলেন, পতিত সরকারের লোক জনের এজেন্ডা ছিলো খাও দাও পুর্তি করো, তারা কখনো এদেশের মানুষকে ক্ষুদা মুক্ত করার চেষ্টা করেনি। তারা এদেশের মানুষের রক্ত চুসে খেয়েছে। আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রতিভাবান বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের পরামর্শ নিবো। এসময় প্রধান অতিথি সেলিম উদ্দিন প্রচলিত রাজনীতিকে না করে দিয়ে ইসলামি মূল্য বোধ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করতে কর্মীদেরকে আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবারের সদস্যদেরকে সম্মাননা স্মারক, শীতবস্ত্র ও নগদ অর্থ উপহার প্রদান করা হয়। সব শেষে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার মাধ্যমে কর্মী সম্মেলনের কার্যক্রম শেষ হয়।