মুখোশ
লেখা: মোসাঃ হাফসা আক্তার
মানুষ খুঁজতে গিয়ে
অসংখ্য মুখের ভিড়ে তাকিয়ে রইলাম,
ভাবতাম— ওরাই আমার চেনা মানুষ,
একদিন হঠাৎ বুঝলাম—
সবাই আসলে মুখোশ পরা।
লং-লাস্টিং মুখোশ,
যা একবার পরলে সহজে নামে না,
যার ভেতর লুকিয়ে থাকে
অজানা এক অবিকল মুখ।
কতজনকে আপন ভেবেছি,
যাদের হাসিতে স্বস্তি পেয়েছি,
কিন্তু সময়ের ধারালো আঙুলে
একদিন উঠে গেছে সব সাজসজ্জা।
তখন দেখলাম— মানুষ নয়,
শুধু মুখোশের মহামিছিল।
আলো ছুঁয়ে যারা পথ দেখাতো,
তাদের ছায়ায় ছিল কেবল ধোঁকা,
যে হাত একদিন আগলে রেখেছিল,
তারই স্পর্শে পেলাম ব্যথার শোকা।
ভাবলাম, এবার নিজেকে দেখি,
আয়নার সামনে দাঁড়াতেই চমকে উঠলাম!
আমার চেহারায়ও লেগে আছে
সময়ের আঁকা এক নিখুঁত মুখোশ।
যে আমি, আর যে আমাকে মানুষ ভাবে—
এই দু’য়ের মাঝে বিস্তর ফারাক!
কত দিন আর এভাবে ভুলে থাকবো?
মুখোশের আড়ালে মিথ্যে সাজবো?
শুদ্ধ মানুষ হওয়ার আগে,
আর কখনো আয়নার সামনে দাঁড়াবো না।