মাসুদ পারভেজ ঃ মেধাবী কোটায় সরকারি চাকুরির কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সহযোদ্ধা উত্তরার আকাশ অসুস্থ। সে সিএমএস ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে । জুলাই-২৪ ছাত্র আন্দোলনের সময় ফ্যাসিস হাসিনার নির্দেশে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্র লীগের সন্রাসীরা আকাশকে বেদম মারধর করে। এ ছাড়াও তাকে তারা গুলি করে মেরে ফেলতে চেযেছিল। শুধু আকাশ নয় উত্তরা এলাকার এরকম শত শত স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিষ্ঠুর খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছিল। তাদের অনেকেই পুলিশ ও ছাত্র লীগের গুলিতে নিহত হয়ে শহীদ হয়েছে আবার অনেকে তাদের লাঠি ও লোহার রডের আঘাতে আহত হয়েছে।
সরকারী চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জোড়ালো ভূমিকা রাখে ঢাকা মহানগর উত্তর সিটির বৃহত্তর উত্তরা এলাকার শিক্ষার্থীরা। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শান্ত মারিয়াম ইনভারসিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি, উত্তরা হাইস্কুল এন্ড কলেজ, নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ, উত্তরা গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজ, আইবিটি ইউনিভার্সিটি, টঙ্গী সরকারি কলেজ, মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ, উত্তরা টাউন কলেজ ও ইউনাইটেড কলেজসহ বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
এখানকার শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলো। ঐ সময় তারা খুনি হাসিনার পালিত পুলিশ বাহিনী ও নিষিদ্ধ ছাত্র লীগের হাতে দফায় দফায় নির্যাতনের শিকার হয়েছে। নিষিদ্ধ ছাত্র লীগ ও পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছে মীর মুগ্ধ সহ অনেক শিক্ষার্থী। তাদের বুকের তাজা রক্তে অর্জিত হয়েছে ফ্যাসিস মুক্ত ভালোবাসার বাংলাদেশ।
সেই উত্তরার নিরীহ ছাত্র সমাজকে ব্যাবহার করছে অনেকে ব্যক্তিগত স্বার্থে।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের থানা কমিটি করা শুরু করা হলেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটিতে আশানুরূপ উত্তরার শিক্ষার্থীদের না রাখায় তারা হতাশ। এখানকার শিক্ষার্থীরা এ ধরনের হটকারি সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না।
তারা আরো বলেন,ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদের খবরা খবর নিলেও আহতদের তেমন খোঁজ খবর নিচ্ছে না কেউ এমন অভিযোগ রয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের। অনেকে বলছে নিহত শহীদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ সেবা দিবে একটা আমরা ও চাই। পাশাপাশি আমাদের ভাই ও সহপাঠিরা যারা আহত হয়েছে,যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে তাদের খবরা-খবর নেয়া ও অত্যন্ত জরুরী।
জানা যায়, গত কয়েক দিন আগে উত্তরায় থানা ভিত্তিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি ও থানা কমিটি বিষয়ে আলাপ করতে গেলে
মধুর কেন্টিনে আকাশ ও তার সহযোগীদের উপর হামলা করা হয়। এতে উত্তরার আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। হামলার সময় আকাশের শরীরের কাঁটা অংশে আঘাত লাগে। এতে সেলাই ফেটে গিয়ে রক্ত বের হয়। যন্ত্রণা সইতে না পেরে
গত শনিবার ১ লা মার্চ ভোরে ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে আহত আকাশ অসুস্থ অবস্থায় শরীর চেক-আপ করতে ছুটে যায় সিএমএস। সেখানে ভর্তি হওয়ার পর ভোরেই ডাক্তার তাকে চেক-আপ করে কাটা অংশ সেলাই করে দেয়।
এমনটা হওয়ার কারণ হিসেবে ভুক্তভুগি আকাশ বলে তার শরীর এমন হওয়ার কারণ মধুর ক্যানটিনে তার উপর হামলা করা হয়েছিলো।সে সময় তার পেটের উপর কাঁটা জায়গায় আঘাত করা হয়।
আকাশ আফসোস করে বলে একটি
ক্ষতের দাগ শুকানোর আগেই মধুর কেন্টিনে তার শরীরে আবার নতুন আরেকটি ক্ষত সৃষ্টি হলো এমনটা আমরা চাই নি।
আকাশে সহযোদ্ধারা
অনেকে বলছে, আকাশ নামটা শুধু উত্তরার বুকে না পুরা বাংলাদেশের বুকে থেকে যাবে, আকাশ যা করছে দেশ এবং এই উত্তরার জন্য যা কখনো ভুলার না, হয়তো একদিন নোংরা রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে কিন্তু আকাশ এর মতন ও তার টিম এর আরো যোদ্ধা কে সবাই হারাবে। যাদেরকে রাত নাই দিন নাই ডাক দিলেই পাওয়া যায়।
খুব কষ্ট লাগে কাদের জন্য আমরা রক্ত দিছিলাম, আজ ত্যাগিরাই মূল্য পায়না
আকাশ তার শারীরিক সুস্থতার জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছে।