বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপির নির্যাতিত কর্মী  সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডার অভিযোগ  নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার হবে – আমিনুল হক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ ২ দিনের সফরে মালয়েশিয়া গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতিসংঘে বাংলাদেশের নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রেজ্যুলেশন গৃহীত গাজীপুরে আসক ফাউন্ডেশনের মানবিক উদ্যোগ জনগণের  সরকারই আগামী নির্বাচনে প্রতিষ্ঠিত হবে – আমিনুল হক এস এম জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে উত্তরখানে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উজ্জ্বল সাফল্য তেজগাঁও ফার্মগেট ব্রিজের নিচে ককটেল বিস্ফোরণ 

বিএনপির নির্যাতিত কর্মী  সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডার অভিযোগ 

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৫ বার পঠিত
হাফসা : ব্যাক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ফ্যাসিস হাসিনার আমলে নির্যাতিত বিএনপির একজন সক্রিয়কর্মী মোঃ সালাউদ্দিনের নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায়  ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র নেতা  কর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ জানান, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে সালাউদ্দিন গুন্ডা পুলিশ বাহিনীর হাতে অমানবিক নির্যাতনের পাশাপাশি বহুবার মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল খেঁটেছেন।
এ সময় বিএনপির আরো একজন সিনিয়র নেতা বলেন, সালাউদ্দিন পুলিশের মিথ্যা মামলায় বার বার গ্রেফতার হয়ে বহুবার জেল খেটেছেন।
তথ্য সুত্রে আরো জানা যায়,২৯ জুলাই ২০২৩ সালে মোঃ সালাউদ্দিন পিতা আব্দুল মালেক সওদাগর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কর্তৃক ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ বিমানবন্দর থানাধীন ১ নং সেক্টর স্কলাস্টিকা স্কুলের সামনে ধর্মঘট পালন করার সময় পুলিশ বাহীনি বিএনপির নেতা কর্মীদের লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে সালাউদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়, পরবর্তীতে অমানবিক নির্যাতন শেষে তাকে মামলা দিয়ে আদালতে চালান করে দেয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ৩০শে অক্টোবর ২০১৮ সালে এস আই মোঃ মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় সরকারি কাজে বাঁধা ও বিস্ফোরক আইনে তার নামে মামলা করেন। এছাড়াও গত ০৩/০৯/২০১৮সালে দক্ষিনখান থানায় পুলিশ বাদি হয়ে তার নামে  জি আর মামলা করেন, নং ০৩/৩৯২।
২০১৮ সালে উত্তরা পশ্চিম থানায় সালাউদ্দিনের নামে আরো বিস্ফোরক মামলা দেন ফ্যাসিবাদের  দোসররা।
জানা যায়, মোঃ সালাউদ্দিন  ২০০৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল জিয়া আন্তর্জাতিক  বিমানবন্দর থানার ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির  সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দলের জন্য নিবেদীত কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। তার নেতৃত্বে বিমানবন্দর শ্রমিক দল ঔ সময় ছিলো সু-সংগঠিত।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বিমানবন্দর থানার ২০১৮ সালের সভাপতি মোঃ জুলহাস পারভেজ মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন ভূইয়ার ১২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে
সালাউদ্দিন ছিলেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।
ঔ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন মিজানুর রহমান সবুজ ও মোঃ জালাল আহমেদ।
গত কয়েক দিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও কয়েকটি  হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কিছু অসাধু ব্যাক্তি সালাউদ্দিন ও তার ছেলেকে নিয়ে মিথ্যা প্রোপাকান্ডা ছড়িয়ে তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন, রাজনৈতিক ও মানসিক ভাবে দূর্বল করার হীনচেষ্টা করছে। এ বিষয়ে সালাউদ্দিন  বলেন, তিনি দীর্ঘ অনেক বছর  যাবত রাজনীতির পাশাপাশি  বিমানবন্দর গোলচক্কর এলাকার জামিয়া  বাবুসসালাম জামে মসজিদের নিচে দোকান ভাড়া নিয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যাবসা করে আসছেন।
কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও পানির বিল পরিশোধ করছেন তিনি। গত কয়েকদিন  যাবত একটি কুচক্রী মহল তার মক্কা হোটেল এন্ড রেস্তোরাঁটি  দখল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন লোক দিয়ে তাকে হুমকি দিচ্ছে, পাশাপাশি  অপপ্রচার ও মনগড়া মিথ্যা  প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল বিএনপির একজন সক্রিয়কর্মী সালাউদ্দিন ও তার ছেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখ সাড়ির যোদ্ধা ইয়াছিনের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা ও বানোয়াট প্রোপাগান্ডায় স্থানীয় লোকজন ও দোকানদারদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও তারা বলছে সালাউদ্দিনের ছেলে জুলাই ২৪ ছাত্র আন্দোলনে একজন সম্মুখ সারির যোদ্ধা ছিলেন।ছাত্র আন্দোলনের একজন তরুণ যোদ্ধার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা ও হয়রানি মূলক প্রোপাগান্ডা চালিয়ে একটি মহল সালাউদ্দিনের দোকান দখল  নেওয়ার চেষ্টা করছে।
এ সব বিষয় নিয়ে বিমানবন্দর গোলচক্কর এলাকার জামিয়া চিত্রিত  বাবুসসালাম জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা ভবনের  দোকানদারগণ বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে  ফ্যসিস হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা সুনামধন্য জমিয়া  বাবুসসালাম মসজিদ ও মাদ্রাসা ভবনটি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকানদার বলেন, ঔ সব ব্যাক্তিদের নামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরিহ ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করার অপরাধে  তাদের নামে থানায় হত্যা চেষ্টার মামলাও হয়েছে। তার পর ও তারা দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে উত্তরাতে।
মোঃ সালাউদ্দিনের বিষয়ে
 উত্তরখান হযরত শাহ কবির (রহ.) এর ভক্ত আশেক ও দেশের বিভিন্ন অলি আউলিয়াগণের আশেক ভক্ত ও তরিকার লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সালাউদ্দিন একজন পাগল মানুষ,তিনি একজন আশেকে রাসুল। সিলেটের  হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরাণ (রহ.) এর মাজার,মাইজভান্ডার শরীফসহ  বাংলাদেশের বিভিন্ন ওলি আওলিয়াগনের দরবারে রয়েছে তার অবাধ যাওয়া আসা। তিনি বিভিন্ন দরবারে দরবারে  ওলিদের কদমে সময় কাঁটান। এমন একজন আশেকে রাসুল পাগলের  নামে মিথ্যা প্রোপাকান্ডা  ছড়ানোকে তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তারা এ সবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন।
বাবুস সালাম মাদ্রাসা ও মসজিদের আশপাশের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বলেন, সালাউদ্দিন পেয়ারী একজন ভালো মনের মানুষ, সদা হাস্যজ্জল ও সদালাপী এই ব্যক্তিটির  সাথে এখনকার কোন  দোকানদারের সাথে কখনো কোন ধরনের কথার কাঁটা কাঁটি পর্যন্ত হয়নি।
স্থানীয় কয়েক জন রাজনীতিবীদ জানান,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক সালাউদ্দিন   ফ্যাসিস হাসিনার আমলে সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে  তৎকালিন পুলিশের হাতে বহুবার গ্রেফতার হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, বহুবার তিনি জেল খেটেছেন। তারুণ্যের অহংকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে নিরলস ভাবে কাজ করা সালাউদ্দিন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডায় লিপ্ত  কুচক্রী মহলের প্রতি নিন্দা জানিয়ে তাদেরকে গ্রেফতারের দাবি জানান স্থানীয়রা। সুত্র ইনকিলাব

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com