হাফসা : একুশে জুলাই বিমান দূর্ঘটনায় উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনে নিহত শিক্ষার্থীদের
সুষ্ঠু তদন্তসহ ৮ দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় তারা , ফুল গুলো সব ঝড়লো কেন, জবাব চাই জবাব চাই ধ্বনিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
অভিবাবকরা শিক্ষার নামে কোচিং ব্যবসা বন্ধ করার দফা দাবি জানান।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৭ টায় বিমান দূর্ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে মাইলস্টোন এন্ড কলেজের সামনে গোল চক্করে মানববন্ধন কর্মসূচি
পালন করেন তারা।
তারা বলেন, মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ দূর্ঘটনার ২২ দিন পর ও নিহত কোন পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি। তারা কোচিং বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার কোটি টাকা।
তারা আরো বলেন,
স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে প্রতারণা করেছে। বাচ্চাদের সম্মান না দিয়ে, আলাপ আলোচনা না করে, অভিবাবকদে সাথে কোন রকম যোগাযোগ ছাড়াই মিলাদ আয়োজন করেন, মিলাদ মাহফিলে তাদেরকে ডাকেন না। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষকে তাদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন।
তারা দাবি করেন,ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার করতে হবে।
সারা বাংলাদেশে মাইলস্টোন স্কুলসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি নিহত বাচ্চার জন্য ৫ কোটি টাকা ক্ষতি পূরণ (জরিমানা) এবং প্রতি আহতদের জন্য ১ কোটি টাকা দিতে হবে।স্কুলের পক্ষ থেকে প্রত্যেক নিহত বাচ্চার জন্য ২ কোটি এবং প্রতি আহতদের জন্য ১ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
রানওয়ে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থান পরিবর্তন করতে হবে (অন্যথায় রানওয়ের স্থান পরিবর্তন করতে হবে)।কোচিং ব্যবসার মূল হোতা স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষিকাকে (মিস খাদিজা)কে ৭২ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে তার সুষ্ঠ বিচার করতে হবে।
স্কুলের সি.সি ক্যামেরার ফুটেজ আমাদেরকে দেখাতে হবে।বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা জনহীন জায়গায় করতে হবে।
সব শেষে তারা বলেন, মানববন্ধনে এক অভিবাবককের সাথে এক শিক্ষক খারাপ আচরণ করেন। তারা ঐ শিক্ষকের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করেন।