শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য দরকষাকষির কৌশল দরকার

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ১ বার পঠিত

সিটিজেন প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর অন্যতম প্রধান বাধা হলো মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) অনুপস্থিতি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেই। এফটিএ চুক্তির জন্য সুনির্দিষ্ট দরকষাকষির কৌশল দরকার।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি ও ট্রেড ট্রানজিশন চ্যালেঞ্জেস: বেস্ট অ্যাপ্রোচেস ফর লোকাল ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন দেশের নিজস্ব সুরক্ষা নীতি ও বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতার কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে কয়েকটি বা দুটি দেশ পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখতে পারে। সেক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) জরুরি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণার পরে এখন ক্ষমতাধর আরও দেশ এমন নিজস্ব সুরক্ষার কথা ভাবতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে সেটা পরিষ্কার করে পলিসি নিতে হবে। আমাদের কোন কোন দেশের সঙ্গে টেকসই ব্যবসা সম্ভব সেটা ভেবে এফটিএ পরিকল্পনা করতে হবে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, আগে বিশ্ববাণিজ্য থেকে সুফল পেয়েছে দুর্বল দেশগুলো। কিন্তু এখন ক্ষমতাশালী দেশ বাণিজ্যে প্রভাব ফেলছে, জটিল করে তুলছে। সবাই রক্ষণশীল বাণিজ্যনীতি নিচ্ছে। এটা আরও দিনদিন বাড়বে। যে কারণে ভবিষ্যতে এফটিএ করে দুই দেশ বা কয়েকটি দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হবে। সেজন্য আমাদের নেগোসিয়েশনের দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে।

রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এফটিএ নিয়ে আমাদের কোনো পলিসি নেই। কোথায় আমরা চুক্তি করবো, কোথায় যাবো না সেটা স্পষ্ট নয়। অনেক ক্ষেত্রে এফটিএ সরকারের রাজস্ব কমায়, সেটাও ভেবে দেখতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ, ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com