হাফসা : টঙ্গী ফ্লাইওভারের উপরে বেপরোয়া গতিতে চলা লরির ধাক্কায় মোটর সাইকেল আরোহী এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ব্যাক্তির নাম নাছিমা তার বয়স (২৮), তার স্বামীর নাম আরিফ। উড়াল সড়কে বাসের জন্য অপেক্ষমান যাত্রীরা বলছেন সড়কের লক্কর ঝক্কর ফিটনেস বিহীন
বিশৃঙ্খল পরিবহনের কারণে অকালে ঝরে যাচ্ছে মানুষের তাজা প্রাণ। এ সময় তারা ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এনে বলেন,তাদের চোখের সামনে উত্তরা বিএনএস সেন্টার, আব্দুল্লাহপুর টঙ্গী উড়াল সড়কে যাত্রীবাহী পরিবহন গুলো যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করছে। এতে সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উড়ালসড়কে চলাচল করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,আব্দুল্লাহপুর- টঙ্গী গাজীপুর উড়াল সড়কের উপর ছোট ছোট দোকান বসিয়ে নষ্ট করছে সড়কের সৌন্দর্য্য ও পরিবেশ। পুরো উড়াল সড়কে ময়লা আবর্জনায় একাকার হয়ে আছে । এর ফলে ব্যাহত হছে সড়কের গাড়ি চলাচল, দিন দিন বাড়ছে যানজট ও দূর্ঘটনা।
এ সময় তারা এখানকার সড়ক মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি ও কার্যক্রম বৃদ্ধির দাবি জানান।
দূর্ঘটনার বিষয়ে
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ জানান,শিবচর মাদারীপুর এলাকার বাসিন্দা আরিফের স্ত্রী নাছিমা তার ভাসুরের মোটরসাইকেল যোগে ডাক্তার দেখানোর জন্য উত্তরায় রওয়ানা হয়েছিল। গাজীপুর টঙ্গী উড়াল সড়কে উঠার পর একটি লড়ি তাদের মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দিলে নাছিমা ও তার ভাসুর সাঈদ হোসাইন সড়কের ছিটকে পড়েন। সড়কের ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় নাছিমা। গুরুতর আহত অবস্থায় সাঈদকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ রবিবার দুপুর আনুমানিক ১.৪০ মিনিটের সময় রাজধানী ঢাকার প্রবেশপথ টঙ্গী আব্দুল্লাহপুর উড়ালসড়কে এই ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে। টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ নাগরিক টেলিভিশনকে বলেন, দূর্ঘটনার পর পর ঘাতক লরিটি আটক করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। তবে লরি চালক কৌশলে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।