বিনোদন প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে নির্মমভাবে হত্যা করার পর আমাদের চলচ্চিত্র, নাট্য শিল্প, অভিনয় শিল্পসহ সংস্কৃতি অঙ্গনের সব ক্ষেত্রে ধ্বস নেমেছিল। কিন্তু জাতির পিতার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে সংস্কৃতি অঙ্গনও।
তার প্রতিফলন ঘটবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে। আসছে বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র উপকমিটি’র এক সভায় আজ সভাপতির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ও বরেণ্য অভিনয়শিল্পী জনাব আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) এ কথা বলেন।
চলচ্চিত্রের ভাষায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগ্রহী জাতি। আর তাই মুজিববর্ষ উদযাপনে নানা পরিকল্পনার মাঝে থাকছে চলচ্চিত্র নির্মাণও। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য জীবন ও আদর্শকে দেশ-বিদেশের দর্শকদের কাছে তুলে ধরতে চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র নির্মাণের লক্ষ্যে চিত্রনাট্য ও নির্মাণের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব আহবান করা হয়েছিল। ২৯ আগস্ট ছিল এই প্রস্তাব পাঠানোর শেষ দিন।
চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র মিলিয়ে মোট ২৩০টি প্রস্তাব জমা পড়েছে। প্রাথমিক বাছাইকৃত ৬৭টি তথ্যচিত্রের প্রস্তাবসমূহ নিয়ে ‘চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র উপকমিটি’র সভা অনুষ্ঠিত হয় কমিটির কার্যালয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে।
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেরও আয়োজন করা হবে। এই উৎসবে ইতিহাসকে বদলে দিতে পারা বরেণ্য মনীষীদের জীবন নিয়ে নির্মিত দেশি বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। এর ফলে বঙ্গবন্ধুর মতো সময়কে চালিত করা ক্ষণজন্মা মানুষদের সম্বন্ধে জানা যাবে।
তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে এইসব চলচ্চিত্র অনন্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তথ্য সচিব আবদুল মালেক।
উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ ও মাসুদ পথিক, অভিনয় শিল্পী পীযুষ বন্দোপাধ্যায় ও রিয়াজ এবং রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহমেদ মুজতবা জামাল।