অনলাইন ডেস্ক: আওয়ামী লীগের এক নেতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী ও তার ভাই আবু সাঈদ চৌধুরীকে (কুটি চৌধুরী) গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার (২২ সেপ্টম্বর) ভোর রাত আড়াইটায় নিউইয়র্ক পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে বলে এনওয়াইপিডির মুখপাত্র সোফিয়া ম্যাসন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। গ্রেফতারের পর তাদেরকে নিকটস্থ কোর্টে নেয়া হলে আদালতে হাজিরার শর্তে জামিন পান ইমদাদ চৌধুরী।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে একই এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা ওয়ালি হোসেনকে (৪৪) পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে। ওয়ালি হোসেন মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন বলে এলমহার্স্ট হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আরও তিনজনকে খুঁজছে নিউইয়র্ক পুলিশ।
ওয়ালি হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দাবি উঠার পরই এক শ্রেণির লোক পদ-পদবির টোপ দিয়ে নগদ অর্থ আদায় করছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। সেটিই আমার অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, একটি শোক সভা শেষে তবারক গ্রহণের সময় এমদাদ চৌধুরীসহ কয়েকজন আমাকে আচমকা হামলা করেছিলেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ নেতারা শেখ হাসিনার সফর সূচি নিয়ে কথা বলছিলেন।
এ বিষয়ে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, নেত্রীর সফর শেষে এমদাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেয়া হবে। আমরা এখন সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সফর নিয়ে ব্যস্ত। তবে এমদাদ যে কাণ্ড করেছেন তা কোনোভাবেই বরদাশত করার মতো নয়।
উল্লেখ্য, গত বছরেও শেখ হাসিনা অবতরণের ৭২ ঘণ্টা আগে দলীয় কোন্দলের কারণে সৃষ্ট সংঘাতে যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তারা বেকসুর খালাস পান। জানা গেছে, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী বছরের অধিকাংশ সময়ই ঢাকায় অবস্থান করেন। গণভবন এবং সচিবালয়ের আশপাশে তাকে দেখা যায়। এ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও অনেক সময় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।