নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতি-মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন, বিএনপি তখন তাদের গঠনতন্ত্রের সপ্তম ধারা বাদ দিয়ে সব দুর্নীতিবাজকে তাদের দল করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা এম এ মান্নান স্মরণে আয়োজিত সভায় তিনি বলেন, ‘বিএনপি আগে যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন অনিয়মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য হাওয়া ভবন করে সব ব্যবসা থেকে টোল আদায় করতো, খোয়াব ভবন করে আমোদ-ফুর্তি করতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সব অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি সাত নম্বর ধারা বাদ দিয়ে সব দুর্নীতিবাজকে দল করার সুযোগ করে দিয়েছে। এখানেই হচ্ছে তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক- এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন, আর বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের সাত নম্বর ধারা বাদ দিয়েছে। সাত নম্বর ধারায় ছিল, কেউ যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয় বা দুর্নীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়, কারও বিরুদ্ধে যদি এ সমস্ত অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তিনি তাদের দলের কোনো পদেই থাকতে পারবেন না। সেই সাত নম্বর ধারাটি বাদ দিয়ে বিএনপি সমস্ত দুর্নীতিবাজদের তাদের দল করার সুযোগ করে দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নেয়। বিএনপির কাছে রাজনীতি ব্রত নয়। তাদের কাছে রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতা এবং ভোগ-বিলাসের সোপান। আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়েছে আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। আওয়ামী লীগে আজ যারা জাতীয় নেতা, তাদের প্রত্যেকের পেছনে অনেক সংগ্রামের ইতিহাস আছে, জীবনকে মৃত্যুর মুখোমুখি করার অনেক ঘটনা আছে, যেটি বিএনপি নেতাদের নেই। বিএনপি গঠিত হয়েছে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে। রাস্তায় যখন খাবারের উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দেয়া হয়, তখন অনেক কাক জড়ো হয় এই খাবার নেয়ার জন্য। জিয়াউর রহমান আর ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভুক কাকদের সমন্বয়ে বিএনপির জন্ম।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের মধ্যে যে সব অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে, পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে যারা আওয়ামী লীগের লেবাস পরে দলে অনুপ্রবেশ করেছিল, যাদের নৈতিক স্খলন ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন, তিনি ক্যাসিনো বন্ধ করছেন, মাদক বন্ধ করছেন, অনিয়ম বন্ধ করছেন’- বলেন ড. হাছান।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।