আজ বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও কাউন্সিলর মো. মোশাররফ হোসেন মোল্লা স্বাক্ষরিত কার্যপত্রে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।
এর আগে স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মন্ত্রণালয় গৃহীত পদক্ষেপসমূহ জানতে চাওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত যাবতীয় পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সমন্বয় কমিটির কাছে সর্বমোট ৮৯টি ইভেন্টের তালিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি দেশীয় ও ৩৯টি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। এসব খেলাধুলা/টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য ৩০৬ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্ভাব্য বাজেট অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও উল্লেখ করা হয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সব খেলা বঙ্গবন্ধুর নামে দেয়া হবে। জাতীয় পর্যায়ের জন্মশতবার্ষিকী সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি’ গঠন করা হয়। জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রথম সভা ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের উপ-কমিটি গঠন করা হয়। ১৭ এপ্রিল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নেলসন ম্যান্ডেলার মতো বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য জাতিসংঘের সদর দপ্তরে স্থাপনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া অনেকগুলো সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এবং সর্বশেষ জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে মন্ত্রণালয়। উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনের উদ্দেশ্যে এখন থেকেই প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সব ফেডারেশনকে দ্রুত একটি বাজেটসহ বড় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব জাগো নিউজকে বলেন, জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপনের উদ্যোগকে সংসদীয় কমিটিতে স্বাগত জানিয়েছে। এজন্য শক্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
এদিকে সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে ‘বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিল-২০১৯’ স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়। কমিটির সদস্যরা বিলটি বিশদভাবে পর্যালোচনা করেন। বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কমিটির সদস্য এ. এম নাঈমুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়।
বৈঠকে নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রতিটি উপজেলায় প্রশিক্ষণ ও বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে আগামী তিন মাসের মধ্যে ডিপিপি প্রণয়ন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সুপারিশ করে।
বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ১৭ অক্টোবর বিকেএসপি’র কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, নাজমুল হাসান, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, জুয়েল আরেং, এ. এম. নাঈমুর রহমান এবং জাকিয়া তাবাসসুম অংশ নেন।