আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাপানে শক্তিশালী হাগিবিস ঘূর্ণিঝড়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে এখন পর্যন্ত ১৫ জন নিখোঁজ ও ৯০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, বিগত ৬০ বছরের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে এটি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দেশটির হনশু দ্বীপে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়টি দ্বীপটির পূর্ব উপকূল থেকে অগ্রসর হয়ে ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, ঝূর্ণিঝড়ের কবলে প্রায় তিন লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এরই মধ্যে জাপানে সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বন্যা ও ভূমিধস হতে পারে। এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭০ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘূর্ণিঝড়ে দেশটির বেশ কয়েকটি মেট্রো রেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। দেশটির পৃথক তিনটি বিমানবন্দরের ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা ইয়াসুসি কাজিওয়ারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বেশকয়েকটি শহর ও গ্রামে অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশটিতে ১৯৫৮ সালে হানা কানোগাওয়া টাইফুনের পর হাগিবিসই সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী টাইফুন হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়াবিদরা। শক্তিশালী কানোগাওয়া টাইফুনে প্রায় ৫ হাজার মানুষ নিহত ও নিখোঁজ হয়েছিল।