জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেছেন, লোক দেখানো আন্দোলন আর মানববন্ধন করলে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না। আপনারা বক্তব্যে বলছেন খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না করে আন্দোলন করা হবে বলে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে কেন? আপনারা যদি কিছু করতে না পারেন আল্লাহর ওয়াস্তে এসব বক্তব্য দেবেন না।
আজ শনিবার আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর শহীদ আবরার ফাহাদ এবং সকল নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্দ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন, নিতাই চন্দ্র রায়, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, ডা. এ জেড এম জাহিদ, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, যুগ্ন মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
শওকত মাহমুদ বলেন, আমি কয়েকটা দিন আবরারের জায়গায় নিজেকে চিন্তা করে তাদের প্রশ্ন করেছি ভাই আমাকে কেন মারছেন? খুনিরা তাকে ৬ ঘণ্টা নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেছে। ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে আসামিরা কী নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তার বর্ণনা দিচ্ছে। কিন্তু ৬ ঘণ্টা যখন আবরারকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তখন তাদের মধ্যে কি কথা হয়েছে তা আমরা জানতে পারিনি।
সেমিনারে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন বলেন, গত ১১ বছরে বেকার যুবকদের ব্যস্ত রাখার জন্য সরকার বিদেশ থেকে ইয়াবা আনার ব্যবস্থা করেছে। দেশে যখন চরম পরিস্থিতি বিদ্যমান তখন সরকারদলীয় নেতারা ক্যাসিনো খেলা নিয়ে ব্যস্ত।
তিনি বলেন, দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিমাণ এতো বৃদ্ধি পাওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হয়েও কিছু করতে পারছে না। এটা প্রধানমন্ত্রীর অক্ষমতা।