জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য ভাসানচরের প্রায় সবপ্রকল্প শেষ পর্যায়ে। সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের এটি স্থাপন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির পঞ্চম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। আশ্রয়ন প্রকল্প-৩ এর পরিচালক এ এ মামুন চৌধুরী কমডোর বিএন স্বাক্ষরিত এক কার্যপত্রে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
বৈঠকে ভাসানচর আবাসন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং এ প্রকল্পের ওপর একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, হাতিয়ার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার আবাসন এবং দ্বীপের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির জন্য জিওবি খাত থেকে বরাদ্দকৃত ২৩ হাজার ১২১ কোটি ৫৩ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে ২২ হাজার ৬৫৯ কোটি চার লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে এবং ৪৬২ কোটি ৪৩ লাখ ১০ হাজার টাকা কন্টিজেন্সির জন্য অব্যয়িত রয়েছে। প্রকল্পের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে এবং এক লাখ বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকের পুনর্বাসনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. মোতাহার হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন, মো. মহিববুর রহমান এবং নাহিদ ইজাহার খান অংশ নেন।
এছাড়া বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদরদফতরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সফিকুর রহমান, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।