জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রত্যেক নাগরিককে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সচেতন হতে হবে। এক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণই হচ্ছে সবচেয়ে বড় মাধ্যম।
বুধবার রাজধানীর অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের রিক্রিয়েশন সেন্টারে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশন আয়োজিত ‘অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড সাউথ অ্যান্ড ওয়েস্ট এশিয়া : ফেয়ারওয়েল অ্যান্ড ওয়েলকাম হোম ইভেন্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ‘অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড’ বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার প্রসার ও নাগরিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট।
বাংলাদেশের ৫০ জন অস্ট্রেলিয়া স্কলারশীপপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণার্থী সফলতার সাথে সম্পন্ন করে দেশে ফিরেছেন এবং ৫০ জন প্রশিক্ষণ নিতে যাবেন। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ নারী প্রতিনিধি। এ সময় সবার সার্বিক সফলতা কামনা করেন স্পিকার।
স্পিকার বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড’ বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা কর্মকর্তাদের জন্য একটা বিরাট সুযোগ। সাউথ এবং ওয়েস্ট এশিয়ার নাগরিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও এই অ্যাওয়ার্ড ভূমিকা রাখছে। তিনি বাংলাদেশের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড অব্যাহত রাখার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে বাংলাদেশের প্রশিক্ষণার্থী স্কলারদের আইসিটির সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে। নিজেদের প্রতিভা ও মেধাকে সৃজনশীল কাজে লাগাতে হবে। এ সময় তিনি বিদেশ থেকে অর্জিত জ্ঞান দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে স্কলারদের প্রতি আহ্বান জানান।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নসহ শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে সরকার। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।