জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার আদর্শ, নীতি ও চেতনার প্রতিফলনই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রণীত বাহাত্তরের সংবিধান। আর এ সংবিধানই হচ্ছে রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড। এ সময় তিনি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সংবিধানকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।
সোমাবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সহায়ক কমিটি আয়োজিত বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ৪৮তম দিবস উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও ১৯৭২ এর সংবিধান শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্পিকার বাহাত্তরের সংবিধানকে বিশ্বের অন্যতম সংবিধান উল্লেখ করে বলেন, ৪ নভেম্বর ঐতিহাসিক ও গৌরবোজ্জ্বল দিন। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে রাষ্ট্রীয় চার নীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা সন্নিবেশিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, জনগণের মুক্তি ও অধিকার আদায়ের প্রশ্নে আপোষহীন থেকে আমৃত্যু লড়াই সংগ্রাম করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত না করে অসীম সাহসিতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন স্বাধীনতা ও সংবিধান।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে বহু কালজয়ী বক্তব্য রেখেছেন। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর ১৯৭২-এর ৪ নভেম্বর গণপরিষদে সংবিধান গ্রহণের প্রাক্কালে প্রদত্ত ভাষণ গুরুত্বপূর্ণ। ভাষণটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সব ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের কল্যাণ সাধনই বঙ্গবন্ধুর মূল রাজনৈতিক দর্শন।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুল হুদার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সহায়ক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট খোন্দকার আবদুল মান্নান, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট গাজী শাহ আলম, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল।