অনলাইন ডেস্ক: স্ত্রীর কাটা মাথা হাতে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে থানায় হাজির হয়েছেন এক ব্যক্তি। বর্বর এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে। ওই ব্যক্তির স্ত্রী তাকে মদ খেতে নিষেধ করতেন। তাকে মদ্যপানে বাধা দিয়েছেন বলেই স্ত্রীকে হত্যা করে মাথা কেটে থানায় হাজির হন তিনি।
সোমবার সকালে স্ত্রীর কাটা মাথা হাতে নিয়ে পুলিশের কাছে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি। আগরার হারি পর্বত পুলিশ স্টেশনের অধীনে এতমাদুদাউলা এলাকায় রোববার রাতে স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি।
টিভির মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন নরেশ। ১৭ বছর আগে শান্তিকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের তিন মেয়ে এবং এক ছেলে আছে। নরেশ প্রায়ই মদ খেতেন। আর এ নিয়েই তার স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝামেলা হতো।
রোববার রাতেই ঘরে বসে মদ খাচ্ছিলেন নরেশ। সে সময় তার স্ত্রী তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে দা নিয়ে স্ত্রীর মাথায় কোপ দেয় সে। পরদিন সকালে ওই কাটা মাথা নিয়েই থানায় হাজির হন তিনি।
নরেশকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার দাবি, স্ত্রীকে হত্যার সময় সে মদ্যপ ছিল না। তবে তিনি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনেছেন।