অনলাইন ডেস্ক: মিসর, তুরস্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রথম চালান কার্গো বিমানে দেশে আসছে আজ (মঙ্গলবার)। সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ত্বরিত গতিতে কার্গো বিমানে মিসর, তুরস্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, কার্গো বিমানের প্রথম চালান মঙ্গলবার বাংলাদেশ এসে পৌঁছবে।
সচিব বলেন, এলসির মাধ্যমে সমুদ্রপথে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেড় মাসের মতো সময় লেগে যাচ্ছে। বর্তমানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজের চালান বাংলাদেশের উদ্দেশে সমুদ্রপথে রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজের রফতানিমূল্য কমপক্ষে তিনগুণ বেড়েছে। মিয়ানমার থেকে চারগুণ।
এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান সচিব।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। সেদিন থেকেই বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির। এরপর থেকে দফায় দফায় বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। ওইদিনই ১০০ টাকায় পৌঁছে যায় দেশি পেঁয়াজের কেজি।
পরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের পর আবারও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং আমদানি করা পেঁয়াজ আসছে না- এমন অজুহাতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। ফলে অপ্রতিরোধ্য পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ বেড়ে হয় ২৫০ টাকায়।
পেঁয়াজের সংকট মোকাবিলায় বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে। পাশাপাশি মিসর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়।
এছাড়া মিসর থেকে কার্গো বিমানযোগে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। যার প্রথম চালান ঢাকায় পৌঁছবে আজ।