বিনোদন ডেস্ক, সিটিজেন নিউজ: জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার এটিএম শামসুজ্জামান। অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচ বার। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক।
শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়ায় সোমবার সকাল পৌনে এগারোটার দিকে ফের কিংবদন্তি এই অভিনেতাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এটিএম শামসুজ্জামানের ছোট ভাই সালেহ জামান সেলিম।
তিনি জানান, আগের চেয়ে একটু সুস্থ হওয়ায় গেল শুক্রবার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়েছিলো এটিএম ভাইয়ের। কিন্তু আজ সকাল থেকে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় আবার তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় চিকিৎসকরা। তার শারীরিক অবস্থাও খুব বেশি ভাল নয় বলে জানান সেলিম।
জনপ্রিয় এই অভিনেতা শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে অসুস্থ্ হয়ে পড়লে আসগর আলী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুরে তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
লাইফ সাপোর্টে থাকা এ টি এম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখার জন্য ওষুধের পরিমাণও কমিয়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার চিকিৎসকের বরাত দিয়ে এসব কথা জানিয়েছিলেন এই অভিনেতার মেজ মেয়ে কোয়েল আহমেদ।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও মাঝেমধ্যেই শখের বশে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ছবি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর ‘আলফা’। ২৬ এপ্রিল ছবিটি দেশের চারটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।
ষাটের দশকের শুরুতে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এটিএম শামসুজ্জামান। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন ‘জলছবি’ ছবিতে। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করলেও খল অভিনেতা হিসেবেই জনপ্রিয়তা পান তিনি।