বিশেষ প্রতিবেদক: পরিবেশবান্ধব বস্ত্রশিল্প, রফতানি বাজার সম্প্রসারণসহ এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০১৯’ এবং চার দিনব্যাপী ‘বহুমুখী বস্ত্র মেলা’ আয়োজিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন-টেকসই উন্নয়ন’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথাযথ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদার একটি হলো বস্ত্র। বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বস্ত্র ও পাট খাতকে জাতীয়করণ করে এ খাতকে সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ নেন। বর্তমানে দেশের মোট রফতানি আয়ের সিংহভাগ পোশাক শিল্প থেকে অর্জিত হচ্ছে। গ্রামীণ দারিদ্র্য মোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, বস্ত্র ও পোশাক খাতের সমতা বৃদ্ধি ও পোশাক খাতের অগ্রগতিকে টেকসই করতে ‘বস্ত্র নীতি ২০১৭’ ও ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে । বস্ত্রখাতের জন্য মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বর্তমানে সাতটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সাতটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ও ৪২টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট পরিচালিত হচ্ছে। অধিকন্তু এ ধরনের আরও শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের কাজ চলমান।
আবদুল হামিদ বলেন, বস্ত্রশিল্পে বাংলাদেশের ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। ঢাকাই মসলিন ও জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁত, কুমিল্লার খাদি, রাজশাহীর সিল্ক কিংবা মিরপুরের বেনারসি শিল্প বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। এসব শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে বস্ত্রখাত সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি এ প্রত্যাশা করেন।
জাতীয় বস্ত্র দিবসের এসব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।