বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীর হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী হলেন জিয়াউল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক চলাচলের নিরাপত্তা’ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন অভিষেক মন্ডল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪১তম ব্যাচের ও শহীদ রফিক জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
অভিযোগপত্রে জিয়াউল হক উল্লেখ করেছেন, ‘৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী মোড়ে বসেছিলাম। তখন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪১তম আবর্তনের শিক্ষার্থী অভিষেক মন্ডল আমার কাছে আসেন এবং কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে গালিগালাজ শুরু করেন। এমনকি পাঁচ মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেন। অন্যথায় আমার হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দেন।’
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘গত বছরের এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ অভিষেক মন্ডল অন্যায়ভাবে আমার মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। তখন প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে তার নামে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন। ফলে গত সোমবারের হুমকির পরে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, যা আমার শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা অভিষেক মন্ডল বলেন, গত ছয় মাস তার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। আর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টিও মিথ্যা। আমাকে এবং আমার সংগঠনকে বিতর্কিত করার জন্যই এমন মিথ্যা অভিযোগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগপত্র পেয়েছি, এটি নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।