আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদির ২১ জন সামরিক ক্যাডেটকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সদস্যরা সেখানে সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। গত ডিসেম্বরে ফ্লোরিডায় দেশটির সামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে সৌদির বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তার গুলিতে তিনজন নিহত হয়।
ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই এই ২১ জনের বিরুদ্ধেও অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে কারণেই ওই সামরিক সদস্যদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল বার তিন মার্কিনিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে উল্লেখ করেন।
সৌদির বিমান বাহিনীর সেকেন্ড লে. মোহাম্মদ সায়েদ আলসামরানি (২১) গত ডিসেম্বরে হামলা চালিয়েছিলেন। তিনি নিজেও সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। তিনি গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করেন। ওই হামলায় আরও ৮ জন আহত হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের তীব্র উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যেই সৌদি ক্যাডেটদের দেশে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদির সম্পর্কে নতুন করে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বার বলেন, এটা একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। সব তথ্য এটাই প্রমাণ করে যে, হামলাকারী জিহাদি আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন। তদন্তের সময় আমরা এটা জানতে পেরেছি যে, গত ১১ সেপ্টেম্বর হামলাকারী সামাজিক মাধ্যমে একটি বার্তা পোস্ট করেন। সেখানে লেখা ছিল, কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে।
বার বলেন, ওই ২১ ক্যাডেট সদস্যকে তাদের প্রশিক্ষণ থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখা গেছে যে, এদের মধ্যে অনেকেই শিশু পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিলেন, কেউ সামাজিক মাধ্যমে জিহাদি বার্তা পোস্ট করেছে অথবা মার্কিনবিরোধী বার্তা দিয়েছে।