যশোর প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছায় এক গৃহবধূকে (২৮) মারধর করে চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে এই ঘটনা ঘটে। চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) এসএম এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, ২১ জানুয়ারি রাতে ঝিকরগাছার হাড়িয়া গ্রামে যৌতুকলোভী স্বামী সাদ্দাম হোসেন স্ত্রীকে মারধর করে চুল কেটে দিয়েছিল।
চৌগাছা উপজেলার সলুয়া পূর্বপাড়ার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, বেলা ১১টার দিকে একই এলাকার আহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৪৫) ও ইমরান হোসেন (২৩), মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আজুফা বেগম (৪০), হাসানের স্ত্রী শিউলী বেগম (২৬), সালামের স্ত্রী রেহেনা (৪০), সিরাজুলের স্ত্রী বিউটি বেগম (৪২) ও জামাল হোসেনের স্ত্রী শাপলা বেগমসহ (৩৫) আট-নয় জন তার স্ত্রীকে মারধর করে চুল কেটে দেয়।
পুলিশ অভিযোগ পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করে আটক সাতজনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত) বলেন, এ ঘটনায় নয়জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া এজাহারভুক্ত সাতজনকে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আদালতে পাঠানো হবে।
স্থানীয়রা জানায়, মাসখানেক আগে ওই গৃহবধূর সঙ্গে তার স্বামীর পারিবারিক দ্বন্দ্ব হয়। গ্রাম্য সালিশ বিচারে তা মীমাংসাও হয়ে যায়। ওই ঘটনার সূত্র ধরে প্রতিবেশী কয়েকজন নারী-পুরুষ সকালে ওই গৃহবধূকে মারধর করে এবং চুল কেটে দেয়। পরে তাকে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সকালে সলুয়া বাজারে কাঁচামাল বিক্রি করতে আসার পর বাড়ি থেকে তার ছেলে (৯) জানায়, প্রতিবেশী কয়েকজন তার মাকে মারপিট করছে। তিনি বাড়ি গিয়ে দেখেন স্ত্রী আহত অবস্থায় পড়ে আছে এবং তার মাথার চুল কাটা।
হাসপাতালে ভর্তি রফিকুলের স্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি নকশিকাঁথা, বিছানা চাদরসহ বিভিন্ন প্রকার হাতের কাজ করেন। এতে তার বেশ আয় হয় এবং সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করেন। প্রতিবেশীদের কয়েকজন তাকে অপবাদ দিয়ে মারধর করে চুল কেটে দেয়।